Thank you for trying Sticky AMP!!

টানা দরপতন চলছে শেয়ারবাজারে

শেয়ারবাজার

বাজেটের পর থেকে একটানা দরপতন চলছে শেয়ারবাজারে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য তেমন কোনো ঘোষণা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ভর করেছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। বাজেট-পরবর্তী তিন কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৯ পয়েন্ট বা প্রায় ২ শতাংশ কমে গেছে।

গত বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার কমানো ছাড়া আর তেমন কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। করপোরেট কর কমানোর এ সুবিধা পাবে না ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মুঠোফোন ও সিগারেট প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর এক-তৃতীয়াংশই ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মুঠোফোন ও সিগারেট প্রস্তুতকারক কোম্পানি। এর বাইরে যেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট কর কমানো হয়েছে সেখানেও শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি বছরে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদে লেনদেন করবে, কেবল সেসব কোম্পানিই এ সুবিধা পাবে। ফলে করপোরেট কর কমানোর সুবিধা পাবে না শেয়ারবাজারের অধিকাংশ কোম্পানি।

বাজেটে উল্লেখযোগ্য কোনো সুবিধা না পাওয়ায় গত রোববার থেকে বাজারে দরপতন শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবারও এ ধারা অব্যাহত ছিল। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩৬টি বা ৬২ শতাংশেরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৮৯টির বা ২৩ শতাংশের। আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫ শতাংশ বা ৫৭টির দাম।

একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজেট সামনে রেখে ব্যক্তিশ্রেণি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বাজারে বিনিয়োগ করে মুনাফার আশায়। বাজেটে ভালো কিছু থাকবে—এই প্রত্যাশায় তাঁরা বিনিয়োগ করে থাকেন। এবারও বাজেট সামনে রেখে কিছু বিনিয়োগকারী বাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় এখন তাঁরা লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করছেন।

ঢাকার বাজারে গতকাল দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৭৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৭৭ কোটি টাকা বেশি।