Thank you for trying Sticky AMP!!

শেয়ারবাজার: প্রতিটি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা তহবিল গঠনের সুযোগ

বাংলাদেশ ব্যাংক

শেয়ারবাজার স্বাভাবিক করতে প্রতিটি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা তহবিল গঠনের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি শেয়ারবাজারের এ বিনিয়োগকে নির্ধারিত সীমার বাইরে রাখা হয়েছে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ৭ শতাংশ সুদে ঋণ পাবে সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব সুযোগ দেওয়া হয়েছে ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সোমবার রাত আটটার পর এ নিয়ে একাধিক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইনের বিভিন্ন ধারা শিথিল করে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোন খাতে শেয়ারে এ তহবিল বিনিয়োগ করা যাবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি গত বছরের সেপ্টেম্বরে শেয়ারবাজারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া বিশেষ তহবিল সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। ওই প্রজ্ঞাপনে যারা সুবিধা নিয়েছিল, তারা নতুন নীতিমালার আওতায় আবেদন করবে। জানা গেছে, দি সিটি ব্যাংক ছাড়া অন্য কোনো ব্যাংক ৬ শতাংশ সুদের ওই তহবিলে সাড়া দেয়নি।

এর ফলে প্রতিটি ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকা করে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হলো। পাশাপাশি এ তহবিল হবে ঘূর্ণমান। ব্যাংক নিজে বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব তহবিল ব্যবহার করতে হবে। তবে এসব তহবিল গঠন বা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে কাউকে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের শেয়ারবাজার ও মুদ্রাবাজারের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনকারী হিসেবে ব্যাংকগুলোর ভূমিকা অনেক। শেয়ারবাজার অস্বাভাবিক উত্থান-পতন ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থাকেও প্রভাবিত করে। দেশের শেয়ারবাজারে বর্তমান অবস্থায় পরিস্থিতি উন্নয়নে শেয়ারবাজারের মধ্যস্থতাকারীদের তারল্য সহায়তা প্রদানের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় তারল্যপ্রবাহ বজায় রাখার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অধীন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউসকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শেয়ারবাজারে টানা পতন ঠেকাতে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অর্থমন্ত্রীসহ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বিএমবিএর নেতারা সম্প্রতি গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করে বাজারের তারল্যসংকট কাটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেয়। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছেও একই প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।