Thank you for trying Sticky AMP!!

বিজ্ঞাপনটি বিদ্বেষপূর্ণ ও নেতিবাচক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বলেছে, ভ্যাট আহরণের জন্য নেওয়া কোনো আইনি পদক্ষেপের ফলে কোনো ব্যবসায়ীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, ভ্যাট কোনোভাবেই তাদের আয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। আইন অনুযায়ী ভ্যাট দেন মূলত ভোক্তারা। আর ভোক্তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভ্যাট আদায় করে থাকে, যার মালিক রাষ্ট্র।

গত ৮ অক্টোবর প্রথম আলোর শেষের পাতায় ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আমাদের আকুল আবেদন’ শিরোনামে এক বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর এ কথা বলেছে। গতকাল মঙ্গলবার পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বিজ্ঞাপনটিকে অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ ও নেতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে।

গত ৮ অক্টোবর প্রথম আলোর শেষের পাতায় ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আমাদের আকুল আবেদন’ শিরোনামে এক বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর এ কথা বলেছে। গতকাল মঙ্গলবার পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বিজ্ঞাপনটিকে অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ ও নেতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে। এ ছাড়া প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটিতে মহামারির এই দুঃসময়ে ভ্যাট আদায়ের অভিযানকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলা হয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর এ নিয়ে বলেছে, অধিদপ্তর এনবিআরের অধীন বিশেষায়িত একটি গোয়েন্দা দপ্তর। এ দপ্তর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা কার্যকর করে থাকে। তা ছাড়া ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কাজের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যেকোনো ন্যায্য সমস্যার প্রতি সংবেদনশীল। আর দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ী বিদ্যমান আইন ও বিধি যথাযথ পরিপালন করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তবে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের থেকে আদায় করা ভ্যাট রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করছে এবং অন্যান্য সৎ ও প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের অসম প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

প্রতিবাদপত্রে আরও বলেছে, সম্প্রতি সরকারের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে রাজস্ব চাহিদার জোগান ও রাজস্ব আহরণের স্বার্থে এনবিআরের নির্দেশনায় ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ভ্যাট ফাঁকি প্রতিরোধে বিশেষ কার্যক্রম ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করেছে। গত তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা ও তদন্ত করে প্রায় ১ হাজার ১০৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে, যা বর্তমানে আদায়ের প্রক্রিয়াধীন।

প্রতিবাদলিপিতে অধিদপ্তর আরও বলেছে, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে আইন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করছে ও আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর সবাই জানেন আইন অনুযায়ী ভ্যাট দেয় মূলত ভোক্তা। ভোক্তার কাছ থেকে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভ্যাট আদায় করে থাকে, যার মালিক রাষ্ট্র। সুতরাং ভ্যাট আহরণের কোনো আইনি পদক্ষেপের ফলে সংগত কারণেই কোনো ব্যবসায়ীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই; ভ্যাট কোনোভাবেই তাদের আয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।

প্রতিবাদপত্রে আরও বলেছে, সম্প্রতি সরকারের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে রাজস্ব চাহিদার জোগান ও রাজস্ব আহরণের স্বার্থে এনবিআরের নির্দেশনায় ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ভ্যাট ফাঁকি প্রতিরোধে বিশেষ কার্যক্রম ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করেছে। গত তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা ও তদন্ত করে প্রায় ১ হাজার ১০৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে, যা বর্তমানে আদায়ের প্রক্রিয়াধীন।

প্রতিবাদপত্রে সবশেষে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপন প্রচারে ব্যয় করা অর্থের বৈধতা সন্ধান করাটাও জরুরি। কেননা, অর্থ ব্যয় করে বেনামে বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে অধিদপ্তরের চলমান ভ্যাট ফাঁকির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রমকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, যা প্রকারান্তরে সরকারের রাজস্ব আয়ের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করার শামিল। এটি একধরনের ‘স্যাবোটাজ’ও কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রকাশিত বিজ্ঞাপন নিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর বলেছে, সেখানে অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য এবং একটি অংশে সরকারি দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছে। তা ছাড়া অধিদপ্তরের কার্যক্রমের কারণে কোনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বিজ্ঞাপনটিতে নেই। আবার অধিদপ্তরের কার্যক্রম আইনবহির্ভূত কি না, তা-ও দাবি করা হয়নি। আবার বিজ্ঞাপনটিতে কোনো প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সংগঠনের নাম ব্যবহার না করে অস্তিত্বহীন ‘ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সমাজ’ নামে প্রচার করে নিজেদের আড়াল করার উদ্দেশ্য অত্যন্ত রহস্যজনক।

প্রতিবাদপত্রে সবশেষে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপন প্রচারে ব্যয় করা অর্থের বৈধতা সন্ধান করাটাও জরুরি। কেননা, অর্থ ব্যয় করে বেনামে বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে অধিদপ্তরের চলমান ভ্যাট ফাঁকির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রমকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, যা প্রকারান্তরে সরকারের রাজস্ব আয়ের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করার শামিল। এটি একধরনের ‘স্যাবোটাজ’ও কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অধিদপ্তর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ বিজ্ঞাপন প্রচার করার প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছে। একই সঙ্গে অধিদপ্তর এ ধরনের বিজ্ঞাপন দাতাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা না করা এবং এই জাতীয় অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছে।