Thank you for trying Sticky AMP!!

বিশ্ব পুঁজিবাজারে সূচক পতনে সুনামি

গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডাও জোনস সূচক এক দিনেই কমেছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ছবি: রয়টার্স

বিশ্ব শেয়ারবাজারকে যেন অভূতপূর্ব এক দুর্যোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে করোনাভাইরাস। হর্তাকর্তাদের কোনো পদক্ষেপ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত—কিছুই যেন আটকাতে পারছে না সূচকের পতন। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডাও জোনস সূচক এক দিনেই কমেছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক কমেছে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। নাসডাক কমেছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ।

দেশের অর্থনীতি মন্দার দিকে যাচ্ছে—প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পরই সূচক পতনে যেন সুনামি বয়ে যায়।

লন্ডনের এফটিএসই ১০০ কমেছে ৪ শতাংশ, এ ছাড়া ইউরোপের শেয়ারবাজারেও একই অবস্থা ছিল। ফ্রান্সের পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ, জার্মানির ডাক্স কমেছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে এশিয়ার পুঁজিবাজারে সূচকের ব্যাপক ধস শুরু হয়। লেনদেনের শুরুতে জাপানের নিকেই ২২৫ সূচক কমেছে আড়াই পয়েন্ট, চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

গত রোববার করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ নীতিনির্ধারণী সুদের হার প্রায় শূন্যে নামিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে এই বৈশ্বিক মহামারির প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য ৭০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করা হয়েছে। এটি ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে নেওয়া সমন্বিত পদক্ষেপের অংশ ছিল। তবে বিনিয়োগকারীরা এখন উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে মহামারিটির প্রভাব মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে আর কী বিকল্প বাকি রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের যা পদক্ষেপ নেওয়ার ছিল, তা নিয়ে নিয়েছে। মনে হয় না এগুলো খুব কাজে আসবে, কারণ, এই সমস্যা এখনো চলছে। যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নতুন গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি করোনাভাইরাস মহামারির জন্য অর্থনীতিকে যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তা মোকাবিলায় প্রয়োজনে ‘আবারও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; তবে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, শেয়ারবাজারকে তাৎক্ষণিকভাবে ঠান্ডা করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এসব কথা বললেও তা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।