Thank you for trying Sticky AMP!!

লভ্যাংশসংক্রান্ত নীতিমালার সংশোধন চায় বিএপিএলসি

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার লভ্যাংশসংক্রান্ত নীতিমালার চারটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব তুলেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ বা বিএপিএলসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামকে দেওয়া একটি চিঠিতে এ সংশোধনী প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

বিএসইসি গত ১৪ জানুয়ারি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য লভ্যাংশসংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, কোম্পানি ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ পর্ষদ সভায় অনুমোদনের ১০ দিনের মধ্যে সমপরিমাণ অর্থ আলাদা ব্যাংক হিসাবে জমা করতে হবে। পরে সেই অর্থ থেকেই লভ্যাংশ বিতরণ করতে হবে। কিন্তু বিএপিএলসি এ ধারাটি সংশোধনের প্রস্তাব করেছে। তারা বলছে, অনেক সময় কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে গিয়ে লভ্যাংশ পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই এজিএমে অনুমোদনের পরই লভ্যাংশের অর্থ আলাদা ব্যাংক হিসাবে রাখার বিধান করলে ভালো। এ ছাড়া কোম্পানির পর্ষদ সভার পর এজিএম আয়োজনের জন্য তিন মাস সময় থাকে। তাই পর্ষদ সভার ১০ দিনের মধ্যে লভ্যাংশের অর্থ আলাদা ব্যাংক হিসাবে রাখতে হলে তাতে কয়েক মাস ওই টাকা ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে কোম্পানি। তাতে কোম্পানির চলতি মূলধন সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি কোম্পানির মুনাফা ও শেয়ারপ্রতি আয়ে (ইপিএস) তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

এ ছাড়া বিএসইসির নীতিমালায় বলা হয়েছে, বোনাস বা স্টক লভ্যাংশের ক্ষেত্রে এজিএমে অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে তা শেয়ারধারীর বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে জমা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কাছ থেকে অনাপত্তি নিতে হবে। সিডিবিএলের কাছ থেকে অনাপত্তি নেওয়ার এ শর্ত তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বিএপিএলসি। তারা বলছে, এটি তাদের জন্য অপ্রয়োজনীয়।

বিএসইসির নীতিমালায়, কোম্পানির অবণ্টিত বা বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ তিন বছর পর বিএসইসির নির্দেশিত একটি তহবিলে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। শেয়ারবাজারের কোম্পানিগুলোর মালিকদের সংগঠন বিএপিএলসি এই ধারার বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও স্পষ্টীকরণের সুপারিশ করেছে। বিএপিএলসি বলছে, ভারতের কোম্পানি আইনে সাত বছর পর অবণ্টিত লভ্যাংশ বিশেষ তহবিলে স্থানান্তরের বিধান আছে। কিন্তু বাংলাদেশের কোম্পানি আইনে এ–সংক্রান্ত কোনো বিধান বা নির্দেশনা নেই। তাই বিএসইসির বিধানটি কার্যকর করতে হলে তা কোম্পানি আইনেও যুক্ত করতে হবে।

এর বাইরে শেয়ারধারীদের বিও হিসাব, ব্যাংক হিসাব ও মুঠোফোন, ই–মেইলসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণে কোম্পানিগুলোকে এজেন্ট নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু বিএপিএলসি বলছে, বিনিয়োগকারীদের তথ্য সংরক্ষণের কাজটি ব্রোকারেজ হাউসের। ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে তা সিডিবিএলে সংরক্ষণ করতে পারে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত রাখার প্রস্তাব করেছে বিএপিএলসি।