Thank you for trying Sticky AMP!!

শেয়ারের দরপতনে লাগাম টানায় বড় উত্থান সূচকের

পতন ঠেকাতে শেয়ার দাম কমার সীমা কমিয়ে দেওয়ায় সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। গত কয়েক দিনের দরপতনের ধারা থেকে বেরিয়ে এসে আজ বুধবার বড় উত্থান হয়েছে সূচকের। দেশের শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ এক দিনেই ১৫৬ পয়েন্ট বা আড়াই শতাংশ বেড়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি ৩৮২ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ।

বিএসইসির এ সিদ্ধান্তে আজ হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া বাজারে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারেরই দাম বেড়েছে। এতে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আজ থেকে শেয়ারের দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা বা সার্কিট ব্রেকার বেঁধে দেয় ২ শতাংশে। অর্থাৎ আজ থেকে শেয়ারবাজারে কোনো শেয়ারের দাম ২ শতাংশের বেশি কমার সুযোগ ছিল না। বিএসইসির এ সিদ্ধান্তে আজ হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া বাজারে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারেরই দাম বেড়েছে। এতে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে।

Also Read: বুধবার থেকে ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না শেয়ারের দাম

এর আগে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ করোনা শুরুর পর বাজারে ভয়াবহ দরপতন শুরু হলে তখনো পতন ঠেকাতে শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন মূল্য স্তর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দিয়েছিল। বিএসইসির ওই সিদ্ধান্তের পর ২০২০ সালের ১৯ মার্চ এক দিনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭১ পয়েন্ট বা সোয়া ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছিল।

Also Read: শেয়ারের দামে আবার লাগাম, পতন থামাতে পারবে কি

শেয়ারের দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি বিএসইসি নিয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। আর সেটি কার্যকর হয়েছে আজ। বিএসইসির গতকালের এ সিদ্ধান্তটিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচকভাবে নেন। তার প্রতিফলন আজ বাজারে দেখা গেছে। লেনদেনের শুরু থেকে বাজারে বিক্রির চাপ ছিল কম। তবে সকালেই লেনদেন শুরু প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যে ঢাকার বাজারের প্রধান সূচকটি ১০০ পয়েন্টের বেশি বেড়ে যায়। এ কারণে এদিন লোকসানে আর কেউ শেয়ার বিক্রি করতে চাননি।

গতকাল ডিএসইতে যেখানে ২০ কোটি ৬৬ লাখ শেয়ারের হাতবদল হয়েছিল সেখানে আজ হাতবদল হয়েছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ শেয়ারের। তা সত্ত্বেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

অন্যদিকে, শেয়ারের দাম খুব বেশি না কমার নিশ্চয়তা পেয়ে বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ শেয়ার কেনায় আগ্রহী হন। তবে বিক্রেতা কম থাকায় খুব বেশি শেয়ারের লেনদেন হয়নি। গতকাল ডিএসইতে যেখানে ২০ কোটি ৬৬ লাখ শেয়ারের হাতবদল হয়েছিল সেখানে আজ হাতবদল হয়েছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ শেয়ারের। তা সত্ত্বেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

ঢাকার বাজারে আজ দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৭৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২৭ কোটি টাকা বেশি।

ঢাকার বাজারে আজ দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৭৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২৭ কোটি টাকা বেশি। আর সিএসইতে আজ দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২ কোটি টাকা বেশি।