Thank you for trying Sticky AMP!!

২ ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ১১০০ কোটি টাকা

শেয়ারবাজারের চাঙা ভাব অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। এই দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ওই সময় পর্যন্ত সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

ডিএসইতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার। হাতবদল হওয়ার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০০টির, কমেছে ১৩৫টির, অপরিবর্তিত আছে ৩৮টির দর। এ সময় পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, রবি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, পাওয়ার গ্রিড, বেক্সিমকো, ফুয়াং ফুড, ইস্টল্যান্ড, বেক্সিমকো ফার্মা, বিডি থাই ও কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।

গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট বেড়ে রেকর্ড ৬ হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ৭ হাজার পয়েন্ট থেকে সূচকটি এখন ১১৫ পয়েন্ট দূরে অবস্থান করছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে শেয়ারবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার বিনিয়োগ বেশি হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব বিনিয়োগকারী ব্যাংকের আমানত তুলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করছেন। প্রতিদিনই নতুন নতুন বিনিয়োগ বাজারে আসছে। তাতে বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় এক ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এক মাস আগেও আমাদের ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে গড়ে প্রতিদিন ১০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ হয়েছে। এখন সেটি বেড়ে ৫০ কোটি টাকা হয়েছে। এখন যাঁরা নতুন করে বাজারে বিনিয়োগ করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ছোট ও মাঝারি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী। ছোট ছোট অঙ্কের বিনিয়োগ করছেন তাঁরা।

বাজারে যে প্রতিদিন নতুন বিনিয়োগ বাড়ছে, তার প্রতিফলন দেখা যায় লেনদেনেও। তিন দিন ধরে ঢাকার বাজারে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। আর আগস্টে যে কদিন লেনদেন হয়েছে, তাতে প্রতিদিনের লেনদেন ছিল ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সার্বিকভাবে এখনো তা উদ্বেগজনক নয়। তবে এ বাজারে বড় উদ্বেগের বিষয় স্বল্প মূলধনি ও মন্দ মানের কিছু কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এসব শেয়ারের দাম বাড়ানো হচ্ছে।