Thank you for trying Sticky AMP!!

রেকর্ড মুনাফায় সর্বোচ্চ লভ্যাংশ লাফার্জহোলসিম সিমেন্টের

ডলার ও জ্বালানিসংকটের মধ্যেও রেকর্ড মুনাফা করেছে সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম। কোম্পানিটি গত বছর শেষে ৫৯৪ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, এটি এযাবৎকালের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ মুনাফা। রেকর্ড মুনাফা করায় গত বছরের জন্য সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

লাফার্জহোলসিমের পরিচালনা পর্ষদের আজ বৃহস্পতিবারের সভায় এ লভ্যাংশ ও মুনাফা অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছর লাফার্জহোলসিম প্রায় ২ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। তাতে সব ধরনের খরচ ও সরকারের কর দেওয়ার পর বছর শেষে মুনাফা হয়েছে ৫৯৪ কোটি টাকা। ২০২২ সালে কোম্পানিটি ২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল, ওই বছর মুনাফা করে ৪৪৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ব্যবসা বেড়েছে ২০ শতাংশ আর মুনাফা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।

এ দেশে বহুজাতিক কোম্পানিটি ব্যবসা শুরুর পর এত ভালো মুনাফা আর কখনো করেনি। কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও ইকবাল চৌধুরী বলেন, সিমেন্টের পাশাপাশি ব্যবসার ক্ষেত্রে নানা ধরনের বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। যার সুফল মিলেছে ব্যবসা ও মুনাফায়।

কোম্পানি–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিমেন্টের পাশাপাশি পাথরের ব্যবসা ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কোম্পানিটি। এসব খাত থেকে প্রতিবছর ভালো আয় যুক্ত হচ্ছে কোম্পানিটির হিসাবে। এ কারণে মুনাফাও বেড়েছে।

২০২২ সালে লাফার্জহোলসিম তাদের শেয়ারধারীদের ৪৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ বছর লভ্যাংশের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে একজন শেয়ারধারী ৫ টাকা করে লভ্যাংশ পাবেন। মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসও বেড়েছে। গত বছর শেষে লাফার্জহোলসিমের ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ১২ পয়সায়। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা।

লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট ২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গ্রিন ফিল্ড কোম্পানি হিসেবে এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। গ্রিন ফিল্ড কোম্পানি হচ্ছে সেসব কোম্পানি যারা উৎপাদন শুরুর আগেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বাংলাদেশে শেয়ারবাজারে এ ধরনের কোম্পানি এখন পর্যন্ত শুধু লাফার্জহোলসিমই। শেয়ারবাজারে যখন কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হয়, তখন অবশ্য এটির নাম ছিল লাফার্জ সিমেন্ট। পরে ২০১৬ সালে হোলসিম সিমেন্টকে কিনে নেয় কোম্পানিটি। এরপর এটির নাম বদলে হয় লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট।