Thank you for trying Sticky AMP!!

ডিএসইতে দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন এবার আড়াই শ কোটিতে নেমেছে। আজ বুধবার ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৫৮ কোটি টাকা, যা গত প্রায় দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ গত ৩ জানুয়ারি ডিএসইতে ১৯৯ কোটি টাকার সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছিল।

এদিকে গত সোমবারের তুলনায় আজ ডিএসইতে লেনদেন ৬৯ কোটি টাকা কমলেও সূচকে বড় ধরনের প্রভাব পড়েনি। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ২১৮ পয়েন্টের আগের দিনের অবস্থানেই অপরিবর্তিত ছিল।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেয়ারবাজার এখন অনেকটাই প্রাণহীন হয়ে গেছে। দৈনন্দিন লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ খুব বেশি নেই বললেই চলে। এর বড় কারণ, গত ডিসেম্বর শেষে যেসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে বেশির ভাগ কোম্পানির আয় ও মুনাফা কমেছে, যার প্রভাব বাজারে পড়েছে।

জানতে চাইলে মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যের নেতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়েছে। কারণ, উৎপাদন খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির আয় ও মুনাফা কমেছে। লাভজনক অনেক কোম্পানি গত ছয় মাসে লোকসানে চলে গেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগে সাহস দেখাচ্ছেন না।

ডিএসইতে আজ সিমেন্ট খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি আরামিট সিমেন্টের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোম্পানিটির লোকসানের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে। গত জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৬৯ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে এ লোকসানের পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ১১ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির লোকসান ৩ টাকা ৫৮ পয়সা বেড়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানিটির আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৮২ শতাংশ কমেছে। গত জুলাই-ডিসেম্বরে আরামিট সিমেন্টের পণ্য বিক্রিবাবদ আয় ছিল ৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছর কোম্পানিটি ৪০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছিল। আয় কমে যাওয়ায় এবং লোকসান বাড়ায় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম আজ ২০ পয়সা বা প্রায় ১ শতাংশ কমে গেছে।