Thank you for trying Sticky AMP!!

দুই শর্তে মিডল্যান্ড ব্যাংকের আইপিও অনুমোদন

শেয়ারবাজার

দুই শর্তে চতুর্থ প্রজন্মের মিডল্যান্ড ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আইপিওর মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহের মধ্য দিয়ে ব্যাংকটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। আজ বুধবার বিএসইসির সভায় ব্যাংকটির আইপিও অনুমোদন করা হয়।

যে দুই শর্তে ব্যাংকটির আইপিও অনুমোদন করা হয়েছে, সেগুলো হলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগেই ব্যাংকটির প্রত্যেক পরিচালককে এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া তালিকাভুক্তির আগে বিএসইসির করপোরেট সুশাসন নীতিমালা মেনে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগের শর্তও পূরণ করতে হবে। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিএসইসির দেওয়া দুই শর্ত পরিপালনের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ব্যাংকটি। আইপিও আবেদন শুরুর আগেই এই দুটি শর্ত পূরণ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিএসইসি ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ব্যাংকটির একজন পরিচালকের হাতে ২ শতাংশের কম শেয়ার রয়েছে। বিএসইসির বিধান অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক হতে হলে ওই কোম্পানির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হয়। তবে কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত না হলেও এ বিধান পরিপালনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেহেতু ব্যাংকটি এখন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে, তাই ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ বাধ্যতামূলক।

এ ছাড়া ব্যাংকটিতে বর্তমানে স্বাধীন বা স্বতন্ত্র পরিচালক রয়েছেন দুজন। কিন্তু বিএসইসির করপোরেট সুশাসন নীতিমালা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের এক-পঞ্চমাংশ থাকতে হয় স্বতন্ত্র পরিচালক। বর্তমানে মিডল্যান্ড ব্যাংকে স্বতন্ত্র পরিচালক রয়েছেন দুজন। ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নতুন আরও দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে আইপিওতে ৭ কোটি শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ৭০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে ব্যাংকটি। আইপিওতে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে বিক্রি করা হবে। শেয়ারবাজার থেকে ব্যাংকটি যে টাকা সংগ্রহ করবে, তা সরকারি সিকিউরিটিজ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবে। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ৯০ পয়সা। কোম্পানিটির আইপিওর ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।