Thank you for trying Sticky AMP!!

ঈদের ছুটি শেষে লেনদেন শুরু, বাড়তি ঋণসুবিধার প্রভাব পড়বে কি

শেয়ারবাজার

ঈদের ছুটি শেষে আজ সোমবার শেয়ারবাজারে আবারও লেনদেন শুরু হচ্ছে। সেই সঙ্গে পবিত্র রমজানের কারণে বদলে যাওয়া লেনদেনের সময়সূচিও ফিরছে আগের নিয়মে। তাতে আজ থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হবে সকাল ১০টায়। আর চলবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

Also Read: শেয়ারবাজারে গতি আনতে ভালো শেয়ারে ঋণসুবিধা বাড়াল বিএসইসি

এদিকে ঈদের ছুটির পর শেয়ারবাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে আজ থেকে ভালো শেয়ারের বিপরীতে বাড়তি ঋণসুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, ঈদের ছুটির আগেই ভালো শেয়ারে ঋণসুবিধা বাড়িয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে ৫০ মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও পর্যন্ত ঋণসুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এত দিন এ সুবিধা ৪০ পিই রেশিও পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। তবে শর্তসাপেক্ষে বাড়তি এই ঋণসুবিধা মিলবে শুধু ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত কিছু শেয়ারে।

সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগে মাত্র চার কার্যদিবসে প্রায় ৮০০ বিও হিসাব থেকে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

বিএসইসি জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি তিন বছর ধরে একটানা ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত রয়েছে এবং যাদের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার বেশি, সেসব শেয়ারের ৫০ পিই রেশিও পর্যন্ত ঋণসুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। বিএসইসি গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
বিএসইসি–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূলত মন্দা বাজারে লেনদেনে গতি আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে কিছু কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়তে পারে। কারণ, বাড়তি ঋণসুবিধার কারণে বিনিয়োগকারীদের ভালো শেয়ার কেনার ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে।

Also Read: ‘কৃত্রিম শেয়ারবাজার’ কার ও কী কাজে লাগছে

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, কোনো একটি কোম্পানির শেয়ারের বাজারমূল্য ১০০ টাকা। আর ওই কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ১০ টাকা। তাহলে কোম্পানিটির মূল্য আয় অনুপাত দাঁড়াবে ১০। শেয়ারের বাজারমূল্যকে আয় দিয়ে ভাগ করে মূল্য আয় অনুপাতের হিসাব করা হয়। এখন ওই কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০০ টাকা অতিক্রম না করা পর্যন্ত ঋণসুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এত দিন এই ঋণসুবিধা ৪০ পিই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৪০০ টাকা অতিক্রম না করা পর্যন্ত ঋণসুবিধা পেতেন বিনিয়োগকারীরা। ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার ছাড়া অন্যান্য শেয়ারের বিপরীতে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ৪০ পিইর বাধ্যবাধকতা বলবৎ থাকবে।
ঋণসুবিধা বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তে কতটা প্রভাব বাজারে পড়ছে, সেদিকেই নজর থাকবে আজ বিনিয়োগকারীদের। ঋণদাতা একাধিক ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী প্রথম আলোকে বলেন, যদিও ভালো শেয়ারের লেনদেন বৃদ্ধি পায়, তবে এসব শেয়ারে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে। তাতে বাজারে লেনদেন ও সূচকেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি তিন বছর ধরে একটানা ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত রয়েছে এবং যাদের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার বেশি, সেসব শেয়ারের ৫০ পিই রেশিও পর্যন্ত ঋণসুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।

তবে শেয়ারবাজারে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলের তথ্য বলছে, ঈদের আগে বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। ছুটি শেষে লেনদেন শুরুর পর তাদের কতটা বাজারে ফিরছে, তার ওপরই নির্ভর করছে সূচক ও লেনদেনের গতিপ্রকৃতি।
সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগে সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ার আছে এমন বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫২। অথচ ১২ এপ্রিল এ সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ১২ হাজার ৬২৮। সেই হিসাবে মাত্র চার কার্যদিবসে প্রায় ৮০০ বিও হিসাব থেকে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাতে বেড়েছে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা। ১৮ এপ্রিল দিন শেষে শেয়ারশূন্য বিও হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ১০২। ১২ এপ্রিল শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৮।