Thank you for trying Sticky AMP!!

অর্থনীতি আবার থমকে যেতে পারে

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আবার অর্থনীতির আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশের জিডিপি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বাড়লেও সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবারও স্থবির হয়ে যেতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি।

জি-২০ গোষ্ঠীর দেশগুলোর ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এই সতর্কবার্তা দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সেই বৈঠকে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ করোনা থেকে মুক্তি পেতে সব দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় জোর দিলেন। বললেন, সেই পথে হাঁটতে টিকার যথেষ্ট সরবরাহ জরুরি, তার দামও সাধ্যের মধ্যে থাকতে হবে। তবেই কেবল ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। ভারতীয় গণমাধ্যম মিন্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর গতি আবারও শ্লথ হয়েছে। প্রতিষেধক দ্রুতই চলে আসবে বলে আশা থাকলেও সব দেশকে সতর্ক করে ক্রিস্টালিনার পরামর্শ, সরকারি আর্থিক সাহায্য যেন হুট করে বন্ধ করা না হয়। বরং তাঁর মত, কর্মসংস্থান বাড়াতে অবকাঠামোয় খরচ বাড়ানো দরকার।

মহামারিতে লাখ লাখ জীবন ও চাকরি গেছে। তার থাবা থেকে অর্থনীতির বেরোনোর রাস্তাটা কঠিনই হবে, এমনকি পেছানোর ঝুঁকিও আছে। অনেক সমস্যা রয়ে গেছে, যার একটি করোনার নতুন ঢেউ রুখতে আরও কড়াভাবে সব বন্ধ করা।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা

সম্প্রতি আইএমএফ পূর্বাভাসে বলেছে, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। ক্রিস্টালিনা বলেন, মহামারিতে লাখ লাখ জীবন ও চাকরি গেছে। তার থাবা থেকে অর্থনীতির বেরোনোর রাস্তাটা কঠিনই হবে, এমনকি পেছানোর ঝুঁকিও আছে। অনেক সমস্যা রয়ে গেছে, যার একটি করোনার নতুন ঢেউ রুখতে আরও কড়াভাবে সব বন্ধ করা। তাঁর কথায়, ‘এর মানে প্রবৃদ্ধি আরও তলিয়ে যাবে, বাড়বে ঋণ। দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির ক্ষত হবে দগদগে।’ সব দেশের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

জি-২০-এর বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্সের মতো প্রতিষ্ঠিত শক্তি ছাড়া চীন ও ভারতের মতো উদীয়মান দেশগুলোও অন্তর্ভুক্ত।