Thank you for trying Sticky AMP!!

এক সপ্তাহে তিনবার বিশ্বের শীর্ষ ধনী হলেন তিনি

বারনার্ড আরনল্ট

এ মুহূর্তে বিশ্বের শীর্ষ ধনী কে? এমন প্রশ্নের উত্তরে হয়তো জেফ বেজোসের নামটাই মুখে চলে আসবে। তবে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোসের ওই জায়গা আপাতত ফ্রেঞ্চ ফ্যাশন টাইকুন বারনার্ড আরনল্টের দখলে আছে। ‘ফোর্বস’–এর রিয়েল টাইম বিলিয়নিয়ারের তালিকায় বিখ্যাত ব্র্যান্ড লুই ভুটন প্রধান বারনার্ড আরনল্টের সম্পদের পরিমাণ ১৯ হাজার ১০০ কোটি ডলার। অন্যদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যাওয়া বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার।

তৃতীয় অবস্থানে আছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। এ মুহূর্তে তার সম্পদের পরিমাণ ১৫ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার।

চলতি সপ্তাহে তিনবার বেজোসকে পেছনে ফেলেন বারনার্ড আরনল্ট। গত সোমবার সকালে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে সপ্তাহ শুরু করেন আরনল্ট। পুঁজিবাজারে তাঁর কোম্পানি লুই ভুটন মোয়েত হেনেসির (এলভিএমএইচ) শেয়ারের দর এতটায় বাড়ে যে শীর্ষ ধনী বেজোসকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান তিনি। ‘ফোর্বস’–এর রিয়েল টাইম বিলিয়নিয়ারের তালিকা অনুযায়ী ৭২ বছর বয়সী এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীর সম্পদের পরিমাণ ওই দিন ১৮ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার হয়, যা ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের চেয়ে ৩০ কোটি ডলার বেশি। পরে অবশ্য আবার এগিয়ে যান জেফ বেজোস।

একই ঘটনা ঘটে পরদিন মঙ্গলবার। ওই দিনই শীর্ষ ধনী হিসেবে সূচনা করেন আরনল্ট। তবে পরে আবার বেজোস এগিয়ে যান। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার দিন শেষে আরনল্টই শীর্ষ ধনীর অবস্থানে থাকেন।

‘ফোর্বস’–এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চে আরনল্টের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যা সোমবারে প্রথম বেড়ে হয় ১৮ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ১৪ মাসে ১১ হাজার কোটি ডলার সম্পদ বেড়েছে তাঁর। আবার গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা আরও বেড়েছে। এলভিএমএইচের সঙ্গে ফেন্ডি, ক্রিশ্চিয়ান ডায়ার এবং গিভেঞ্চির মতো অন্যান্য বড় বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Also Read: বেজোসকে পেছনে ফেলে কিছুক্ষণের শীর্ষ ধনী আরনল্ট

গত মাসে প্রথম প্রান্তিকের বিক্রয় প্রবৃদ্ধির কথা জানায় এলভিএমএইচ, যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। চীনসহ এশিয়ার দেশগুলোতে তার পণ্যের চাহিদা ছিল ব্যাপক। শুধু ক্রিশ্চিয়ান ডায়ারের শেয়ারের দর এ বছর ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যা আরনল্টকে প্রথমে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে ইলন মাস্ককে ছাড়িয়ে যেতে সহায়তা করেছে। এখন তিনি এগিয়ে যাচ্ছে শীর্ষ অবস্থানের দিকে।