Thank you for trying Sticky AMP!!

ওপেকের কারণে আরও বাড়ল তেলের দাম

বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। গত অক্টোবরে যে গতিতে উৎপাদন বাড়ানোর প্রত্যাশা করেছিল শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের জোট ওপেক, তবে তার চেয়ে উৎপাদন কম হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম আমদানিকারক দেশ চীনে ডিজেলের সংকটে তেলের চাহিদা বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দামে।

গতকাল সোমবার অপরিশোধিত তেলের আগাম লেনদেনের দাম শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৮৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ হয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ, ব্যারেল প্রতি হয়েছে ৮৪ দশমিক ২৪ ডলার।

গত বছরের এপ্রিলে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ‘শূন্য’ ডলারের নিচে নেমে যায়। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে অপরিশোধিত তেলের দাম এখন চড়া। বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল হচ্ছে আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বালানির চাহিদা। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে দাম, তৈরি হচ্ছে সংকট। প্রায় দেড় বছর কম দামে বিক্রির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তেল উত্তোলনকারী দেশগুলো দাম বাড়ানোর কৌশল হিসেবে দৈনিক তেল উত্তোলনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। চাহিদা বাড়লেও চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত মাসিক চার লাখ ব্যারেল হারে তেল উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে অনড় রয়েছে ওপেক প্লাস।

গতকাল সোমবার রয়টার্সের একটি জরিপে দেখা গেছে, গত অক্টোবরে ওপেকের তেল উৎপাদন বৃদ্ধি, মিত্রদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী যতটুকু বাড়ানোর কথা ছিল, তার থেকে কম উৎপাদিত হয়েছে। কিছু ছোট উৎপাদক কম উৎপাদন করেছে। ওপেক অক্টোবরে ২ কোটি ৭৫ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছে। যা আগের মাসের তুলনায় ১ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল বেশি তবে সরবরাহ চুক্তির অধীন অনুমোদিত হারের চেয়ে কম। ওই চুক্তি অনুযায়ী ২ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল উৎপাদনের কথা ছিল ওপেকের। এদিকে চীনের জাতীয় তেল সংস্থাগুলো ডিজেলের ঘাটতি এড়াতে অপরিশোধিত তেল দিয়ে শোধনাগার চালানোর হার বাড়িয়েছে। ফলে চাহিদা বেড়ে গেছে তেলের।