Thank you for trying Sticky AMP!!

চীনা প্রযুক্তি ছাড়াই ‘ফাইভ–জি’ নেটওয়ার্ক আনতে চায় ভারত

ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ট্রায়াল থেকে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে ও জেডটিইকে বাদ দিয়েছে ভারতের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এর আগে হুয়াওয়ের তৈরি সরঞ্জাম ব্যবহার না করার কথা জানায় পশ্চিমা অনেক দেশ। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হলো ভারত। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি ভারতে ফাইভ-জি ট্রায়াল শুরুর অনুমতি দিয়েছে দেশটির টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। রিলায়েন্স জিও ইনফোকম, ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া, এমটিএনএল—এই সংস্থাগুলোকে শহর, মফস্বল ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ট্রায়ালের প্রস্তুতি শুরু করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় এরিকসন, নকিয়া ও স্যামসাংয়ের নেটওয়ার্ক ইউনিটসহ এক ডজন সংস্থাকে ছয় মাসের জন্য ফাইভ–জি প্রযুক্তির ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে। এই তালিকায় হুয়াওয়ে ও জেডটিই নেই। তবে তাদের ফাইভ–জি সরঞ্জাম ব্যবহারের বিষয়টি এখনো নিষিদ্ধ করে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ছয় মাস সময় লাগবে ট্রায়ালের জন্য। তার মধ্যে প্রথম দুই মাস সেটআপ তৈরি চলবে। আপাতত নকিয়া, স্যামসাং, সি ডট কম, এরিকসনের মতো সংস্থাগুলো থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়া হবে। রিলায়েন্স জিওর নিজস্ব প্রযুক্তি রয়েছে। তা দিয়েই কাজ শুরু হবে। ২০২৩ সাল নাগাদ ভারতের মানুষ ফাইভ–জি সুবিধা পাবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।

এখনো চীনা কোম্পানির ওপর সরাসরি সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করেনি দিল্লি। বর্তমানে ভারতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সরঞ্জাম সরবরাহ করে চীনা কোম্পানিগুলো। তবে সম্প্রতি ভারত সরকার দেশের নেটওয়ার্কগুলোর জন্য আরও ‘কঠোর ও সুরক্ষামূলক’ ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে, যা চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রথমে চীনা সংস্থা হুয়াওয়ের কাছ থেকেই ট্রায়ালের জন্য প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে চিনের সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়। এ ছাড়া চীনা প্রযুক্তির সাহায্য নিলে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করে চীনের প্রযুক্তি না নেওয়ার আলোচনা চলে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্য অনুযায়ী দেশজ সংস্থাগুলোকে আর্থিকভাবে লাভবান করতে চাইছে ভারত।