Thank you for trying Sticky AMP!!

চীনে ২৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি

২০১৯ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। ছবি: রয়টার্স

গত তিন দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চীন। ২০১৯ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

২৯ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি চীনের। অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে দেশটির প্রবৃদ্ধির এই হাল।

প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর প্রয়াসে সরকার গত দুই বছর ধরেই নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশটির ব্যাংকগুলো ঋণ নিতে উৎসাহিত করেছে গ্রাহকদের। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোম্পানিকে ওঠাতে চাইছে সরকার। গত বছর স্থানীয় মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ছিল রেকর্ড ২ দশমিক ৪৪ ট্রিলিয়ন। তবে সমস্যা হচ্ছে বিনিয়োগও কমে গেছে রেকর্ড পরিমাণ। একই সঙ্গে এই সময়টাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে প্রবৃদ্ধির চাকা ধীর হয়ে পড়ে। অবশ্য নতুন বছরে বাণিজ্যযুদ্ধ শিথিলে ‘প্রথম পর্যায়ের’ চুক্তি করেছে দুই দেশ। এখন দেখার বিষয়, এই চুক্তিতে কতটা লাভবান হয় তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির মূল শর্ত হিসেবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আগামী দুই বছরে বর্তমানের চেয়ে ২০০ বিলিয়ন ডলার বেশি মূল্যমানের পণ্য ও সেবা কিনবে এবং মেধাস্বত্ব আইন আরও শক্তিশালী করবে। ২০০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে কৃষি খাতে ৩২ বিলিয়ন ডলার, উৎপাদন খাতে ৭৮ বিলিয়ন ডলার, জ্বালানি খাতে ৫২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনবে চীন। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত নতুন শুল্কের কিছুটা অর্ধেক করে দিতে সম্মত হয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা আনুমানিক ৩৬০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবার ওপর ২৫ শতাংশের বেশি শুল্ক বজায় রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ১০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর যে নতুন শুল্ক আরোপ করেছিল, এর বেশির ভাগ অংশই বজায় রাখবে।