Thank you for trying Sticky AMP!!

জেফ বেজোসের বিলাসবহুল ১২ সম্পদ

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হওয়ায় খ্যাতি, ক্ষমতা ও সম্পদ যে জেফ বেজোসের হাতের মুঠোয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কোনো কিছুর কি অভাব আছে? উত্তর অবশ্যই না, তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে শীর্ষ ধনী আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস তাঁর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে কী করেন? তাঁর কাছে থাকা সবচেয়ে দামি জিনিসগুলো কী। বিশ্ব গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লিখিত বেজোসের প্রিয় ও দামি জিনিসগুলোর একটি তালিকা দেখে নেওয়া যাক।

১. জাদুঘর বাড়ি: জাদুঘর কি কোনো মানুষের বাড়ি হতে পারে। তবে মানুষটা যদি বেজোস হন, অসম্ভব বলে মনে হয় না। ওয়াশিংটনে জেফ বেজোসের একটি বাড়ি রয়েছে, যা আগে টেক্সটাইল জাদুঘর ছিল। ২০১৬ সালে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারে এই জাদুঘর কিনে নেন বেজোস। বর্তমানে বাড়িটির সংস্কার করা হচ্ছে। সংস্কারকাজ শেষ হলে এতে থাকবে ১১টি শোবার ঘর, ২৫টি বাথরুম, ৫টি বসার ঘর এবং ২টি লিফট।

১০ হাজার বছর চলবে যে ঘড়ি

২. সাড়ে ৬ কোটি ডলারের ব্যক্তিগত বিমান: বেজোসের মতো ব্যক্তির জন্য একটি ব্যক্তিগত বিমান যতটা না বিলাসিতা, তার চেয়েও বেশি প্রয়োজনীয়তা। বেজোসকে প্রায়ই যে বিমানে চড়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়, সেটি গালফ স্ট্রিম-৬৫০ ইআর জেট। বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতির জেট বিমান এটি।

৩. ১০ হাজার বছর চলবে যে ঘড়ি: ১০ হাজার বছর ধরে চলবে ঘড়ি। টেক্সাস এলাকায় তৈরি হচ্ছে ওই ঘড়ি। এই ঘড়ি তৈরিতে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছেন বেজোস।

৪. ১০ হাজার বর্গফুটের জাঁকজমকপূর্ণ অ্যাপার্টমেন্ট: নিউইয়র্কে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট আছে বেজোসের। তিনতলা ওই অ্যাপার্টমেন্টের আয়তন ১০ হাজার বর্গফুট। দাম প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

বেজোসের রকেট কারখানায় কাজ করছেন কর্মীরা।

৫. ১৪১ বছরের পুরোনো নিউজ পেপার: আসলে কেবল ধনী হলেই হয় না, শখও লাগে। সেই শখের কোনো কমতি নেই বেজোসের। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অভিজাত পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোস। ২০১৩ সালে এটি কিনে নেন তিনি। ১৪১ বছরের পুরোনো সংবাদপত্রটি কিনতে বেজোস ব্যয় করেন ২৩ কোটি ডলার।

৬. ‘রকেট কারখানা’: বেজোসের অন্যতম আবেগের জায়গা হলো তাঁর মহাকাশ সংস্থা ব্লু অরিজিন। মহাকাশযাত্রীদের জন্য ২০০০ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন বেজোস।

৭. রোবট কুকুর: ২০১৮ সালে বেজোসের একটি টুইট খুব সাড়া ফেলে। টুইটে একটি ছবি পোস্ট করেন বেজোস। যেখানে দেখা যায়, বেজোস হাঁটছেন, পাশে পাশে হাঁটছে তাঁর রোবট কুকুর। স্পট মিনি নামের কুকুরটি তৈরি করে বোস্টন ডায়নামিকস। এটির দাম কেমন বা কীভাবে বেজোস এটি সংগ্রহ করেছেন, জানা যায়নি। তবে ওই টুইটে বেজোস লেখেন ‘মাই ডগ’।

৮. বেভারলি হিলের বাড়ি: ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলে স্প্যানিশ স্টাইলের একটি বাড়ি রয়েছে বেজোসের। বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাতটি শোবার ঘর ও সাত বাথের বাড়িটিতে একটি গ্রিনহাউস, একটি টেনিস কোর্ট, বিশাল সুইমিংপুল, চারটি ঝরনা এবং ছয়টি গ্যারেজ রয়েছে।

জেফ বেজোসের বেভারলি হিল হাউস।

৯. সাধারণ দুটি গাড়ি: ধনীদের খেয়ালই ভিন্ন রকম। দেখা যায়, কোনো কোনো সময় বিলাসবহুল জিনিসের বদলে সাধারণ কিছু প্রিয় জিনিস হয়ে ওঠে।। এমনই দুটি বেশ পুরোনো গাড়ি বেজোসের খুব পছন্দ। একটি হোন্ডা অ্যাকর্ড আরেকটি পুরোনো শেভ্রোলেট ব্লেজার।

১০. সিয়াটলের লেকহাউস: ওয়াশিংটনের সিয়াটলে আরেক ধনকুবের বিল গেটসের প্রতিবেশী কিন্তু জেফ বেজোস। ১৯৯৮ সালে ১ কোটি ডলারে সিয়াটলে বিশাল সম্পত্তি কিনেছিলেন বেজোস। ৫ দশমিক ৩ একরের ওই জায়গায় বেজোসের দুটি বাড়ি রয়েছে। একটি ২০ হাজার ৬০০ বর্গফুটের। আরেকটি ৮ হাজার ৩০০ বর্গফুটের।

১১. আমাজনের সিয়াটল ভবন: সিয়াটলে আমাজনের নজরকাড়া ভবনটির মালিক বেজোস। এর দাম প্রায় ৪০০ কোটি ডলার (৪ বিলিয়ন)।

১২. টেক্সাসে ৩০ হাজার একরের রেঞ্চ: বেজোসের বিশাল এক সম্পত্তি রয়েছে টেক্সাসে। সেটি হলো ৩০ হাজার একরের একটি রেঞ্চ। ব্লু অরিজিন কারখানার কাছে রয়েছে এটি।