Thank you for trying Sticky AMP!!

নানামুখী প্রভাবে টালমাটাল বিশ্ব পুঁজিবাজার

এশিয়ার শেয়ারবাজারে সূচকের ব্যাপক দরপতন হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে এমন আশঙ্কায় এশিয়ার শেয়ারবাজারে সূচকের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার পুঁজিবাজারে সূচক কমে তিন মাস আগের অবস্থানে নেমে এসেছে। সূচক কমেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের শেয়ারবাজারেও। তবে জাপান আজ ছুটি থাকায় পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মার্কিন অর্থনীতির জন্য আরও আর্থিক সহায়তা আসবে এমন প্রত্যাশা কিছুটা টলে গেছে দেশটির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। গতকাল সোমবার ব্যাপক দরপতন হয় যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে। যুক্তরাজ্যের পুঁজিবাজারে একদিনেই হারিয়েছে ৫০ বিলিয়ন পাউন্ড। সেই সঙ্গে সূচক কমেছে ইউরোপের পুঁজিবাজারে।

তবে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বাজারে শেয়ারের দর কমার অন্যতম কারণ ফিনসেন ফাইলস ফাঁসের ঘটনা। গতকাল সারা বিশ্বে তোলপাড় হয় এই ঘটনা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্কের (ফিনসেন) কাছ পাওয়া এই তথ্য ফাঁস করেছে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)। ফিনসেন দাবি করেছে, আড়াই হাজারের বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের গোপন নথি তাদের হাতে রয়েছে। ফাঁস হওয়া এই নথিতে দেখা গেছে, ২ লাখ কোটি ডলারেরও (২ ট্রিলিয়ন) বেশি অবৈধ অর্থ লেনদেনের অনুমতি দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাংকগুলো। এসব ব্যাংকের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের ব্যাংকেরও নাম রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের এই নেতিবাচক প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে এশিয়ার পুঁজিবাজারেও। অস্ট্রেলিয়ার পুঁজিবাজারে সবচেয়ে কমেছে খনিজ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের দর। সবচেয়ে বড় খনিজ কোম্পানি বিএইচপি গ্রুপ এবং রিও টিন্টোর শেয়ারের দর প্রায় ২ শতাংশ করে কমেছে। সূচক কমছে তাইওয়ান ও ভারতের পুঁজিবাজারেও।

Also Read: বিশ্বজুড়ে ২ লাখ কোটি ডলারের অবৈধ লেনদেন