Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রয়োজনে ব্যবসার ধরন পরিবর্তন করবে ই-ভ্যালি

ই-ভ্যালি

ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির কিছু ভুল রয়েছে। ভুলগুলো শুধরানো হবে। প্রয়োজনে বদলানো হবে ব্যবসার ধরন, এমন চিন্তা করে রাখা হয়েছে। সরকার যেসব পরামর্শ দেবে, সেগুলোও অনুসরণ করা হবে।

ই-ভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইউ) মোহাম্মদ রাসেল গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার দেওয়া হয় ১০ শতাংশ পণ্যে। বাকি ৯০ শতাংশ পণ্যে কোনো অফার থাকে না। ভোক্তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ই-ভ্যালি গড়ে তোলা হয়েছে।

জানানো হয়, ই-ভ্যালির গ্রাহক এখন ৩৭ লাখ। এ পর্যন্ত দেড় হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২১ লাখ পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। ই-ভ্যালি ২২ হাজার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যম হয়ে কাজ করছে।

মোহাম্মদ রাসেল বলেন, অনভিজ্ঞতার কারণে এবং মডেল না থাকায় কিছু পণ্য সরবরাহে দেরি হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরবরাহের সময় ৭ থেকে ১০ দিন হলেও ব্যতিক্রম হিসেবে ৩ মাস লেগে যায়। এটা ঠিক হয়ে যাবে। আর ই-ভ্যালিতে আসা কোনো টাকা লন্ডারিং বা পাচারের আশঙ্কা নেই।

মাত্র এক দিন ব্যবসা বন্ধ রাখা হয়েছিল জানিয়ে রাসেল বলেন, বর্তমানে ই-ভ্যালি নিজস্ব পদ্ধতিতে পণ্য কেনাবেচা করছে না, করছে সরাসরি পদ্ধতিতে (ক্যাশ অন ডেলিভারি)। যেদিন সরকার অনুমোদন করবে, সেদিনই তাঁরা আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাবেন।

ঘুষ দিলে পণ্য সরবরাহ আগে হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, স্মার্ট জেনারেশন। কেউ নম্বর সংগ্রহ করে যোগাযোগের মাধ্যমে কাজটি হয়তো করে। এখন থেকে তদারক করা হবে।

পণ্য দিতে না পারলে টাকা ফেরত দিতে সমস্যা কী, এমন প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেন, ‘এই একটি জায়গায় আমরা আটকে যাই। নগদ টাকা দ্রুত ফেরত দেওয়ার অবস্থা এখনো তৈরি করা যায়নি। এটাকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় নিয়ে আসা হবে।’ ওয়ালেটের মতো কার্যক্রম না থাকলেও ‘ই-ওয়ালেট’ নাম রাখাটাও ভুল হয়েছে বলে মনে করেন রাসেল।

ই-ভ্যালি আইন অনুযায়ী ব্যবসা করছে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, কোনো আইনের ধারাই লঙ্ঘন করা হচ্ছে না। আসলে একটা শিশু জন্মের পর থেকেই হাঁটতে শেখে না। ব্যবসাও তা–ই। তবে ভুলগুলো সংশোধন করা হবে। ই-ভ্যালি অগ্রিম টাকা নিয়েও পণ্য না দিলে বা দিতে না পারলে গ্রাহক কোথায় যাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কিছু করে থাকলে আমাদের শাস্তি হবে।