Thank you for trying Sticky AMP!!

যেভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে মুদ্রা পাচারে ব্যবহার হচ্ছে তরুণেরা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিডের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তরুণদের নিশানা করছে বিশ্বের অপরাধী চক্রগুলো। ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে তাঁদের কাজে নেওয়া হচ্ছে, এরপর তাঁদের অজান্তেই মুদ্রা পাচারের কাজে নিয়োজিত করা হচ্ছে তাঁদের।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক জালিয়াতি প্রতিরোধ সেবা সংস্থা সিফাসের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মুদ্রা পাচারের প্রতি ১০টি ঘটনার মধ্যে ৪টিতে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণেরা জড়িত।

ব্যাংক বলছে, অপরাধীরা ‘জেনারেশন কোভিড’ অর্থাৎ যাঁরা কাজের জন্য হন্যে হয়ে পড়েছেন, তাঁদের এই অপরাধে নিয়োজিত করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া কাজের বিজ্ঞাপন দিয়ে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

যেকোনো সংকটের সময় অপরাধীদের এমন প্রতারণা করতে দেখা যায়। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যেভাবে ফাঁদে ফেলা হয়

মুদ্রা পাচারের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা চাই ব্যাংকের হিসাব দিয়ে অর্থ সরিয়ে নিতে। এতে বিষয়টি কম সন্দেহজনক হয়। নিয়োগ দেওয়া তরুণের ‘মানি মুলস’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাঁদের ব্যাংক হিসাব দিয়ে টাকা সরানো হয়। দেখা যায় বেশির ভাগ সময় এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নই করেন না তাঁরা। বেশির ভাগই তরুণ। চাকরি ছেড়ে দিতে চাইলে তাঁদের ক্ষতি করা হবে এমন হুমকিও দেন নিয়োগদাতারা।

আবার তাঁরা যদি ধরা পড়েন, কারাবাসসহ ভবিষ্যতের চলার পথ দুর্গম হয়ে পড়ে তাঁদের। ব্যাংক হিসাব বন্ধ হয়ে যায়, ঋণ নেওয়া বা ব্যাংকিং কোনো কার্যক্রম করা সম্ভব হয় না তাঁদের পক্ষে। সিফাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ২১ থেকে ৩০ বয়সী তরুণদের দিয়ে এ ধরনের কাজ করানোর ঘটনা পাওয়া গেছে ১৭ হাজার ১৫৭টি, যা কিনা তার আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি।

ইউকে ফাইন্যান্সের ইকোনমিক ক্রাইম বিভাগের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাটি ওরোবেক বলেন, যাঁরা এই কঠিন সময়ে কাজ সন্ধানের জন্য লড়াই করছেন, তাঁদের নির্মম শিকার বানাচ্ছে অপরাধীরা। অনলাইনে ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে এই মানুষদের নিয়োগ করে মানি মুলস হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাইকে সাবধান থাকার অনুরোধ করব। একই সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে এই ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন প্রচার শনাক্ত করতে এবং তার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেব।’

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২১ বছরের কম বয়সীদের নিয়োগ কম করা হয়েছে। কারণ, কিশোর-কিশোরীরা এ সময় বাড়ির বাইরে বের হয়েছে কম।