Thank you for trying Sticky AMP!!

যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধির পর কমেছে মূল্যস্ফীতির হার

জ্বালানি তেলের দাম কমায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে কমেছে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতির হার। ছবি: রয়টার্স

প্রবৃদ্ধির পর এবার মূল্যস্ফীতির হার কমেছে যুক্তরাজ্যে। জ্বালানি তেলের দাম কমায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে আশঙ্কার চেয়ে বেশি। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস) বলছে, জানুয়ারিতে দেশটির কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) বা ভোক্তা মূল্যসূচক অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ, যা গত ডিসেম্বরে ছিল ২ দশমিক ১ শতাংশ। এটি গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।

অর্থবিদেরা বলছেন, আশঙ্কার চেয়ে বেশি কমেছে মূল্যস্ফীতি। তবে বিমানভাড়া ও নৌপরিবহনের ভাড়া কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী মজুরি বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত নভেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ৩ দশমিক ১ শতাংশ, যা কিনা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল।

ওএনএসের মূল্যস্ফীতি বিভাগের প্রধান মাইক হার্ডি বলেন, মুদ্রাস্ফীতির কমার মূল কারণ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পেট্রলের দাম কমে যাওয়া। তবে ফেরির টিকিটের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া গত বছরের এ সময়ের তুলনায় বিমানভাড়া কম হারে কমেছে। পেট্রলের দাম গত ডিসেম্বরের চেয়ে এই জানুয়ারিতে কমেছে ২ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া হোটেল ও রেস্টুরেন্টে থাকার ব্যয় কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে নারী ও শিশুদের পোশাকের দাম।

সম্প্রতি ওএনএস জানায়, গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে যুক্তরাজ্যে। গত বছর দেশটির প্রবৃদ্ধির হার হয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০১২ সালের পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম কমলে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। যুক্তরাজ্যের মতো ইউরোপীয় দেশগুলোয় এই মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়া একটি বড় সমস্যা। মূল্যস্ফীতির হার কমলে অর্থনৈতিক গতি নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। ভোক্তার ব্যয় কমে যায়, অর্থনৈতিক গতিশীলতা কমে যায়, ফলে প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কা তৈরি হয়। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যান্ড্রু ইউশার্ট বলেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের লক্ষ্যের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার কমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ ব্যয় বাড়বে বলে আশা করছি। এ আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে যে মূল্যস্ফীতির হার আরও কমতে পারে।