Thank you for trying Sticky AMP!!

যে খবরে কমল স্বর্ণের দাম

বিশ্ববাজারে হঠাৎ করেই কমেছে স্বর্ণের দাম। গতকাল সোমবার স্বর্ণের দাম কমে ২ শতাংশ, যা কিনা ৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক কার্যক্রম প্রত্যাশার চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে এবং করোনাভাইরাসের একটি কার্যকর টিকার কাছাকাছি চলে এসেছে বিশ্ব—এমন সব খবরেই ‘সেফ হ্যাভেন’ বা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত স্বর্ণের দাম কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল স্পট গোল্ডের দাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স হয়েছে ১৮৩৬ দশমিক ৭১ ডলার, যা জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নভেম্বরে দেশটির ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ পাঁচ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে দ্রুত হারে প্রসারিত হয়েছে। এ খবরে প্রথমে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে তাদের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে।

Also Read: সোনার দাম কখন বাড়ে, কখন কমে

যেকোনো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মন্দার সময় মূলত স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এ কারণেই চলতি বছরে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণ কেনার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন। এতে করে স্বর্ণের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। গত আগস্টে দাম আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৭২ ডলার ৫০ সেন্ট পর্যন্ত উঠে যায়। মূলত এ সময়ে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের মজুত শুরু হয়। এসব দেশের বিনিয়োগকারীরা মহামারির মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ দাম পেতে মজুতে জোর দিতে থাকেন। সব মিলিয়ে চলতি বছর স্বর্ণের দাম ২১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

কমেছে রুপার দামও। প্রতি আউন্সে ২ দশমিক ৬ শতাংশ দাম কমেছে। প্রতি আউন্সের দাম ২৩ দশমিক শূন্য ৫২ ডলার। তবে বেড়েছে প্লাটিনামের দাম। প্রতি আউন্সের দাম শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।

তবে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দর আগের মতোই আছে। দেশে এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগবে ৭৬ হাজার ৩৪১ টাকা।