Thank you for trying Sticky AMP!!

২০৩০ সালে বিশ্বের সেরা তিন দেশের একটি ভারত!

ভারতীয় অর্থনীতির সুদিন খুব নিকটেই। ছবি: এএফপি

মানুষ পাল্টানোর সঙ্গে পাল্টাচ্ছে দুনিয়ার অবয়ব। সেই সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ধ্যানধারণা আর চিত্রপট। ২০৩০ সালে এই পৃথিবী নিশ্চয়ই আর আগের মতো থাকবে না? তখন কে শাসন করবে অর্থনৈতিক বিশ্ব, কার হাতে থাকবে বৈশ্বিক অর্থনীতির দণ্ডমুণ্ড?

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস (পিডব্লিউসি) এক গবেষণায় এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ‘সুদূরপ্রসারী: ২০৫০ সাল নাগাদ কীভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে’ শীর্ষক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত জায়গা করে নেবে শীর্ষ তিনে! প্রতিবেশী দেশটির তুলনায় বাংলাদেশ তখনো বেশ পিছিয়ে থাকলেও সেটা হবে আশাব্যঞ্জক। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে বিশ্বে ২৮তম। শীর্ষে থাকবে চীন, দুইয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং তিনে ভারত।

অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আগামী ৩৪ বছরে কতটা শক্তিশালী হবে, তা নিয়ে গবেষণা করেছে পিডব্লিউসি। এর মধ্যে আগামী ১৩ বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি ছাপিয়ে যাবে জার্মানি, রাশিয়া আর জাপানের মতো দেশকে। তখন ভারতের ঠিক নিচেই থাকবে জাপান। পাঁচে ইন্দোনেশিয়া, ছয়ে রাশিয়া এবং তারপরই জার্মানি। অর্থাৎ ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো ক্রমশ বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর কাছে তখন স্থানচ্যুতি ঘটবে জাপান, রাশিয়ার মতো দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রে থাকা দেশগুলোর।

একটি দেশের অর্থনীতির ব্যাপ্তি ও শক্তিমত্তা পরিমাপে দুটি স্বীকৃত উপায় আছে—এক. মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার। দুই. বাজার বিনিময় হারের ভিত্তিতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার। পিডব্লিউসির গবেষণায় পিপিপির ভিত্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশের স্থান বহাল থাকবে চীনের। তবে পরবর্তী ২০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে তিনে হটিয়ে এক ধাপ উঠে আসবে ভারত। সেই সময়, মানে ২০৫০ সালে বিশ্বের ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ।

গবেষণায় মোট দেশজ উৎপাদন বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ৩২টি দেশের অর্থনীতিকে আমলে নেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে ইতিমধ্যেই জিডিপি বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশ। এই ৩২টি দেশের অর্থনীতি বিশ্বে মোট জিডিপির ৮৫ শতাংশের জোগান দেয়।
২০৩০ সালে চীনের মোট অর্থনীতির ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) মূল্য হবে ৩৮.০০৮ ট্রিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ২৩.৪৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ভারতের পিপিপি হবে ১৯.৫১১ ট্রিলিয়ন ডলার। তখন ২৮তম বাংলাদেশের পিপিপি হবে ১.৩২৪ ট্রিলিয়ন ডলার। সূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।