Thank you for trying Sticky AMP!!

সৌদি আরামকোর সঙ্গে চীনা কোম্পানির চুক্তি

জ্বালানি তেল

জ্বালানি তেল কিনতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি আরামকোর সঙ্গে চুক্তি করেছে চীনের বেসরকারি তেল শোধনাগার ঝেজিয়াং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি (জেডপিসি)। এ চুক্তির আওতায় চীন ৭৮ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল বা ১০ লাখ ৮০ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনবে। চীনা পত্রিকা ঝুশান ডেইলির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত শনিবার সাংহাইয়ে পঞ্চম চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপো শুরু হয়েছে। সেখানে সাড়ে ৭৩ কোটি ডলারের এ চুক্তি সই হয়েছে। তবে কবে নাগাদ চুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

তেল ক্রয়ের চুক্তির বিষয়টি জেডপিসি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি। অন্যদিকে সৌদি আরামকো মন্তব্য করেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে জেডপিসি ২ কোটি ৬৫ লাখ টনের বেশি ক্রুড পরিশোধন করে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেলে চীনসহ বিশ্বের অনেক দেশ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহে সচেষ্ট হয়। তারা সরাসরি রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল কিনেছে। আবার এখন সৌদি আরবের কাছ থেকে তেল কিনছে।

 সম্প্রতি জানা গেছে, সৌদি আরব সফরে যেতে পারেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তাঁর সফর ঘিরে একটি সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান এসব কথা জানান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের বিশ্লেষণ, এই সফরে সৌদি আরবের সঙ্গে চীনের জ্বালানি বাণিজ্য আরও দৃঢ় ভিত্তি লাভ করতে পারে।

সৌদি আরব ও ইউয়ানের শক্তি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কাছ থেকে রুবল ও ইউয়ানে তেল কিনতে শুরু করে চীন।এতে চীনা মুদ্রা ইউয়ান শক্তিশালী হয়।তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সৌদি আরব চীনের কাছে ইউয়ানে তেল বিক্রি করলে চীনা মুদ্রা আরও শক্তি পাবে।

মোদ্দাকথা, দীর্ঘ মেয়াদে ইউয়ানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রধান মুদ্রা হতে হলে সৌদি আরবের সহায়তা দরকার হবে।মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ইউয়ান গ্রহণ করলে রাতারাতি জ্বালানি বাণিজ্যের নিয়ামকে পরিণত হবে চীনের মুদ্রা।রিয়াদ যদি চীনা মুদ্রাকে গ্রহণ করে, তাহলে এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোও তাকে অনুসরণ করবে।