Thank you for trying Sticky AMP!!

রুপে ও মির কার্ড ব্যবহারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে রাজি ভারত-রাশিয়া

ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে রাশিয়া। এর পর থেকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রুবলসহ অন্যান্য মুদ্রায় লেনদেন করেছে তারা। এবার ভারতের সঙ্গে লেনদেন সহজ করতে ভারতের কার্ড সেবা রুপে ও রাশিয়ার মির কার্ড ব্যবহারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে দেশ দুটি। অর্থাৎ রাশিয়ার মির কার্ড ভারতে ব্যবহার করা যাবে এবং ভারতের রুপে ব্যবহার করা যাবে রাশিয়ায়।

সেই সঙ্গে ভারতের স্থানীয় পেমেন্ট–ব্যবস্থা ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (ইউপিআই) এবং ব্যাংক অব রাশিয়ার ফাস্টার পেমেন্ট সিস্টেমের (এফপিএস) মধ্যে আদান–প্রদান করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতেও রাজি হয়েছে দুই দেশ।

বিভিন্ন বার্তা সংস্থাকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কমিশন বৈঠকে (আইআরআইজিসি—টিইসি) এই দুই সেবা ব্যবহারের সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ডেনিস মানতুরভ।

এ ছাড়া আন্তদেশীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক অব রাশিয়া পরিচালিত রাশিয়ার আর্থিক লেনদেনের বার্তা বিনিময়ব্যবস্থা সার্ভিস ব্যুরো অব ফিন্যান্সিয়াল মেসেজিং সিস্টেম গ্রহণ করা যায় কি না, তা–ও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে একমত হয়েছে দেশ দুটি। বর্তমানে বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারত সুইফট–ব্যবস্থা ব্যবহার করে।

গত বছরের ডিসেম্বরে রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেয় পশ্চিমা বিশ্ব। এরপর ভারতের আমদানিকারকেরা রাশিয়া থেকে যত তেল কিনেছে, তার দাম পরিশোধ করেছে ডলারের বাইরে ভিন্ন কোনো মুদ্রায়। তেলের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ও ব্যাংকিং খাতের সূত্রগুলো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, যেসব মুদ্রা ব্যবহার করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিরহাম ও রাশিয়ার রুবল। অর্থাৎ ইতিমধ্যে তারা আন্তবাণিজ্যে ভিন্ন মুদ্রা ব্যবহার করছে। এবার লেনদেনের ক্ষেত্রে অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে মূলত সামরিক সরঞ্জাম কিনত। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেই সম্পর্ক অন্য দিকে মোড় নেয়। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানিতে নানা রকম নিষেধাজ্ঞা দেয়।

ফলে রাশিয়া ইউরোপ-আমেরিকার কাছে আগের মতো জ্বালানি বিক্রি করতে না পেরে চীন ও ভারতের দিকে ঝোঁকে। ভারতও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে অপরিশোধিত তেল কেনা শুরু করে।

এই প্রক্রিয়ায় গত এক বছরে রাশিয়া ভারতের জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে উঠেছে। ভারত এত দিন সবচেয়ে বেশি তেল কিনত ইরাকের কাছ থেকে। গত মাসে তাদের হটিয়ে ভারতের সবচেয়ে বড় জ্বালানি সরবরাহকারী হয়ে ওঠে রাশিয়া। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে ৪৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬৩৩ কোটি ডলারের তেল কিনেছে।