উদ্ভট ও খ্যাপাটে কর্মকাণ্ডের জন্য সুপরিচিত ইলন মাস্ক এবার নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তাঁর নতুন এ পরিকল্পনা হলো ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ মানুষকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাওয়া। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি কিছু পরিকল্পনাও করেছেন।
মাস্ক এর আগে বলেছিলেন, তিনি চান মানুষ ২০২৯ সালের মধ্যে মঙ্গলবক্ষে পা রাখুক। ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স চলতি বছরেই মনুষ্যবাহী মহাকাশযান মঙ্গলে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, এরপর এ পরিকল্পনা ২০২৬ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। মাস্ক পরে ইঙ্গিত দেন, সেই মাহেন্দ্রক্ষণ হতে পারে ২০২৯ সাল।
নিজের পছন্দের কথা জানিয়ে দেওয়ার পর ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন এ বিষয়ে কিছু বলেননি। এরপর হঠাৎ গত সপ্তাহে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগাম পরিকল্পনা করছেন তিনি। এরপর তাঁর ভক্ত-অনুসারীদের মধ্যে একজন মন্তব্য করেন, মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের স্টারশিপ এই মানুষদের মঙ্গলগ্রহে নিয়ে যাবে। জবাবে মাস্ক যা বলেন, তার সারকথা হলো, মঙ্গলগ্রহে ১০ লাখ মানুষ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে।
তাঁর কথায় যে বিষয়ের ইঙ্গিত মেলে তা হলো, মঙ্গলগ্রহে মনুষ্যবসতি স্থাপন করা হতে পারে। মানুষসহ অধিকাংশ প্রজাতি এক গ্রহের মধ্যে আটকে থাকলে তাদের সম্ভাবনা বিনষ্ট হবে। সে জন্য মাস্ক বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে হলে মানুষকে একাধিক গ্রহের বাসিন্দা হতে হবে।
এর আগে ২০২১ সালে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, মানুষ অন্যান্য প্রাণীর মতো এক গ্রহের প্রাণী হতে পারে না; মানুষকে একাধিক গ্রহে বসবাসকারী প্রাণী হতে হবে। মানুষ আজ থেকে ৫০ বছর আগে শেষবার চাঁদের বুকে পা রেখেছিল। মানুষকে আবার সেখানে যেতে হবে এবং সেখানে স্থায়ী ভিত্তি তৈরি করতে হবে। এরপর মঙ্গলের বুকে শহর বানিয়ে মানুষকে একাধিক গ্রহে বসবাসকারী সভ্যতার ধারক-বাহক হতে হবে।
অর্থাৎ মাস্ক মনে করছেন, মানুষকে কেবল এক পৃথিবী গ্রহের মধ্যে আটকে থাকলে চলবে না।
আরও পড়ুন
-
১৫৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন: ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
-
গাজায় গণহত্যা চালানোর মধ্যেই ইসরায়েলে শত কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
-
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবার ৪৫ জনকে নোটিশ দিল বিএনপি
-
দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের গোপন সম্পদের পাহাড়, কার কত
-
‘ভোটাররা আর আমাদের আন্ডার মেট্রিক বলতে পারবে না’