Thank you for trying Sticky AMP!!

৭০ হাজার কর্মী নেবে ফ্লিপকার্ট

করোনায় অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। সেখানে ফ্লিপকার্টের লোকবল নিয়োগের খবর পাওয়া গেল

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ই–কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। ফ্লিপকার্টের হাত ধরে ভারতে ডিজিটাল দুনিয়ার নতুন যুগের শুরু হয়েছিল। এরপরইও অনেকে খুচরা পণ্য ব্যবসায় এসেছিল। তবে গ্রাহকদের মধ্যে সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। নতুন নতুন অফার কিংবা পণ্যের কারণেই হোক, ফ্লিপকার্ট এখনো ভারতে অন্যদের চেয়ে খানিকটা এগিয়ে। সেই ফ্লিপকার্ট করোনায় স্বাভাবিক জীবনের শুরুতে প্রায় ৭০ হাজার কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

বিজনেস টুডের খবরে বলা হয়েছে, ভারতে আসছে উৎসবের সময়। এ সময় বাজার ধরতে নেমে ব্যস্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো। পিছিয়ে নেই ফ্লিপকার্টও। এ মাসের ১৮ তারিখ থেকে তারা এনেছে নতুন এক সেলের ঘোষণা। এতে গ্রাহকেরা ইচ্ছেমতো পণ্যসামগ্রী ডিসকাউন্টে কিনতে পারবেন। আর তাই এর মধ্যেই ফ্লিপকার্ট বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে কর্মী নিয়োগের জন্য। পূজাসহ নানা উৎসবের মৌসুমের কথা মাথায় রেখে প্রায় ৭০ হাজার কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে ই–কমার্স সাইটটি। করোনা–পরবর্তী সময়ে কাজ হারানো মানুষদের জন্য সুখবরই বটে।

ফ্লিপকার্টের এমন ঘোষণায় সুবিধা হবে সাধারণ মানুষেরই। কোভিড–১৯–এর কারণে এই মুহূর্তে অনলাইন শপিং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভারতে। এ অবস্থা অবশ্য পুরো বিশ্বের একই। লকডাউন, করোনার আতঙ্কে অনলাইনেই বেশি জিনিস কেনার ওপর ঝোঁক বেড়েছে মানুষের। সে কারণে অনলাইনে পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠানগুলো নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। পূজাসহ কয়েকটি উৎসবের সময়ে ফ্লিপকার্টে পোশাক থেকে অন্য পণ্য কেনার চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই অনেক কর্মী নিয়োগের ভাবনা থেকেই ফ্লিপকার্ট এ ঘোষণা দিয়েছে। আর এতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশাল বাজার তৈরি হবে।

এ মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্রমেই মানুষের নির্ভরতা বেড়েছে ডিজিটাল দুনিয়ার ওপর। ফ্লিপকার্টের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করার জন্য এসব কর্মীকে কাজে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সরবরাহ চেইন ঠিক রাখতে পণ্য সরবরাহকারী, পণ্য বাছাইকারী, ফোন বা অনলাইনে পণ্যের চাহিদা গ্রহণকারীসহ নানা পদের লোক লাগবে ফ্লিপকার্টের। এ জন্য সংস্থাটি ডিজিটালি সরবরাহ চেইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।

পূজাসহ নানা উৎসব মৌসুমের কথা মাথায় রেখে প্রায় ৭০ হাজার কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে ই-কমার্স সাইটটি

ফ্লিপকার্টের ই–কার্ট এবং মার্কেটপ্লেসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমিতেশ ঝা বলেন, ‘কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে আমাদের ক্রেতাদের কাছে পণ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৌঁছে দিতে চাই। আমরা শিল্প ও অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে অংশ নিতে চাই।’

লকডাউনের কারণে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে এ নিয়োগে অনেকেই চাকরি পাবেন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (সিএমআইই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে ২০২০ সালের মে থেকে আগস্ট—এই চার মাসে ভারতে ৫৯ লাখ পেশাজীবী চাকরি হারিয়েছেন। এর মধ্যে ফ্লিপকার্টে লোক নেওয়া ঘোষণায় অনেকের জন্য স্বস্তিও হতে পারে।