Thank you for trying Sticky AMP!!

ছুটি না পেয়ে চাকরি ছাড়লেন নারী, অচল হলো শহর

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরুর দিকে অনেক প্রতিষ্ঠান নিজেদের আর্থিক দিক বিবেচনা করে অনেক কর্মী ছাঁটাই করেছে। আবার কেউ কেউ চাকরি ছেড়েছেনও। মহামারিতে অনেক প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংকটও দেখা দেয়। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান কিছুটা সামলে উঠেছে।

কিন্তু মাত্র একজন নারী কর্মী চাকরি ছাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি শহর কর্তৃপক্ষ চরম সমস্যায় পড়েছে। দেশটির মেইন অঙ্গরাজ্যের পাসাদামকেগ শহরে ছুটি না পেয়ে চাকরি ছেড়েছেন ক্রিস্টেন বুচার্ড নামের একজন সাধারণ কেরানি। আর তাতেই সব কাজ বন্ধ হয়ে অচল হয়ে গেছে শহর। বিপাকে পড়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।

ইনডিপেনডেন্ট ও নিউজউইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিস্টেন বুচার্ড ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পাসাদামকেগ শহরের কেরানি হিসেবে নিয়োগ পান। এই নারীর প্রথম দায়িত্ব ছিল ওই বছরের নভেম্বরের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা। এ কারণে তাঁকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পরে শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব পড়ে ক্রিস্টেন বুচার্ডের ওপর। তাঁকে উপ–কোষাধ্যক্ষ, পোষা প্রাণীর সনদ দেওয়া, শহরের গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ, যানবাহন নিবন্ধন এবং অঙ্গরাজ্যের অভ্যন্তরীণ মৎস্য ও বন্য প্রাণী বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এতসব কাজের চাপে ক্রিস্টেন বুচার্ডের ছুটি নেওয়ার সুযোগ ছিল না। বাধ্য হয়ে গত মাসের শুরুর দিকে তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে দুই সপ্তাহের ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে শহরের এত সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার কোনো কর্মী না থাকায় কর্তৃপক্ষ তাঁর ছুটি মঞ্জুর করেননি।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। ক্রিস্টেন বুচার্ড চাকরি ছেড়ে চলে যেতেই পাসাদামকেগ শহরের সরকারি সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শহরের কোন নথি কোথায় আছে—খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কেউ কোনো প্রাণীর প্রতি নির্যাতন চালালে সমাধান হচ্ছে না, যানবাহনের সনদ দেওয়া বন্ধ। এতে অচল হয়ে পড়ে শহরটি।

পাসাদামকেগ শহর কর্তৃপক্ষ গত ১৯ এপ্রিল জানিয়েছে, অফিসে ক্রিস্টেন বুচার্ডের দায়িত্ব পালন করার মতো কোনো কর্মী নেই। তাই তাঁর মতো একজন কর্মী না পাওয়া পর্যন্ত সরাসরি অফিস বন্ধ থাকবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতত কোষাধ্যক্ষ বারবারা বয়ার সপ্তাহে কয়েক দিন করে অফিসে আসছেন। কিন্তু তিনি যানবাহনের নিবন্ধনসহ অন্যান্য একাধিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এ কারণে এখনো শহরটি সচল হয়ে ওঠেনি। বিপাকে পড়েছেন শহরবাসী। শহর কর্তৃপক্ষ বর্তমানে ওই পদে কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।