Thank you for trying Sticky AMP!!

আন্দোলনকারী দুই নেতার বিরুদ্ধে জাবি প্রশাসনের জিডি

নজির আমিন চৌধুরী ও মাহাথির মোহাম্মদ। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের দুই সংগঠকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে প্রশাসন। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন আশুলিয়া থানায় এ জিডি করেন।

এই দুজন হলেন, ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদ।

জিডিতে বলা হয়, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে আরও পাঁচজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বিনা অনুমতিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তাঁরা উপাচার্য ফারজানা ইসলামকে ‘অকথ্য ভাষায় গালাগাল’ করে কার্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এ সময় তাঁরা উপাচার্যকে ‘শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করারও হুমকি’ দেন।

উপাচার্যকে হুমকির অভিযোগের বিষয়ে মাহাথির মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি প্রথম উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করি। উপাচার্যের অনুমতি নিয়েই প্রবেশ করি। এরপর উপাচার্যকে অনুরোধ করে বলি, আমাদের যেহেতু কর্মসূচি চলছে তিনি যেন অফিস না করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিক্ষক আমাকে ‘বেআদব’ বলে নানারকম কথা বলতে থাকেন।’

নজির আমিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে তাঁর শিক্ষার্থীরা কথা বলতে গেলে সেটাকে যদি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাহলে সেটি দুঃখজনক। এর মধ্য দিয়ে এই উপাচার্য কতটা অসহিষ্ণু মনোভাবের তা বুঝতে পারা যায়। এই ঘটনা প্রমাণ করে উপাচার্য নিজেই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে পরিণত হয়েছেন। যিনি ভিত্তিহীন অভিযোগে বারবার শিক্ষার্থীদের নামে মামলা ঠুকে দেন।’

এর আগে গত ১ নভেম্বর একজন সহকারী প্রক্টরের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেসময় আন্দোলনকারীরা জানান, চলমান দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে প্রশাসন নানা পাঁয়তারা করছে। এর অংশ হিসেবে এ ধরনের মামলা করা হয়।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক বলেন, ‘একটি জিডি হয়েছে শুনেছি কিন্তু এখনো হাতে পাইনি।’

আরও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলনকারী নেতার ওপর সহকারী প্রক্টরের ‘হামলা’