Thank you for trying Sticky AMP!!

আবারও অনশনে ওয়ালিদ আশরাফ

ওয়ালিদ আশরাফ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলের পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে করা ও ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবি পুনর্বিবেচনার দাবিতে আবারও অনশনে বসেছেন ওয়ালিদ আশরাফ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার বিকেল তিনটা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনসংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে অনশনে বসেছেন ওয়ালিদ। এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ তাঁর কাছে যাননি।

অনশনরত ওয়ালিদ আশরাফ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে লিখিতভাবে তাঁর দাবিগুলো জানিয়ে সেগুলো পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন। তবে উপাচার্য তাঁকে কোনো ধরনের আশ্বাস দেননি। তাই আজ মঙ্গলবার থেকে তিনি অনশনে বসেছেন।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চার দফা দাবিতে একই জায়গায় অনশনে বসেন ওয়ালিদ আশরাফ। তবে রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ‘নিরাপত্তাজনিত’ কারণ দেখিয়ে তাঁকে সেখান থেকে উঠিয়ে দেয়।

ওয়ালিদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়সসীমা ৪০ বছর করা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার স্বার্থে নির্বাচন দুই সপ্তাহ পিছিয়ে ২৫ মার্চ করা। ওয়ালিদের দাবি পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে ডাকসু নির্বাচন পরিচালনায় নিযুক্ত প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এগুলো সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত। প্রশাসন এসব বিষয়ে ভালো বলতে পারবে।

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য। নির্বাচন হচ্ছে, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। সে একজন বহিরাগত। তাঁর উদ্দেশ্য যদি ভালো হয়ে থাকে, তাহলে তাঁকে আমরা ক্যাম্পাসে এসে এসব না করার পরামর্শ দেব।’