Thank you for trying Sticky AMP!!

কুয়েটের ১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শাস্তি

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুই হলের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি ও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করে মুচলেকা আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ১ নভেম্বর ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়। পরে রাতে বিষয়টি নিয়ে হলগুলোতে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। টানা ১৫ দিন বন্ধের পর গত ১৭ নভেম্বর থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৮ জন ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার, ৬ জন ছাত্রকে আর্থিক জরিমানা ও ১৩ জন ছাত্রকে সতর্ক করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত আট ছাত্রের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের ছাত্র মো. আল আরাফাত আবির, রাহাত আহম্মেদ ইমন, মো. শাহীন আলমকে ছয় টার্মের জন্য বহিষ্কার; একই হলের কাজী আকিব জাভেদ, মো. তরিকুল ইসলামকে চার টার্মের জন্য বহিষ্কার; মো. রাশাদ রাফিদ অর্নব ও সুদীপ বিশ্বাসকে দুই টার্মের জন্য বহিষ্কার; মো. নাসির উদ্দিনকে এক টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের ছাত্র প্রতিনিধিত্বমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না হওয়া, ভবিষ্যতে অপরাধের প্রমাণ পেলে কঠোর শাস্তি, হলের আসন বাতিল এবং অভিভাবকের মুচলেকা প্রদানের মুচলেকা দিতে হবে।

আর্থিক দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অমর একুশে হলের শোয়েব ইসলাম ও মো. ফয়সালকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা; ফজলুল হক হলের রাছিন জামান, আহসানুল আবেদিন , সৈকত দে-কে ১০ হাজার টাকা করে; অমর একুশে হলের মো. রেদওয়ানুল আমিনকে ৫ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের ছাত্র প্রতিনিধিত্বমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না হওয়া, ভবিষ্যতে অপরাধের প্রমাণ পেলে কঠোর শাস্তি ও অভিভাবকের মুচলেকা প্রদানের মুচলেকা দিতে হবে।

এ ছাড়া, অমর একুশে হলের তিলক বড়ুয়া, মো. তানভীর আহম্মেদ, ফজলুল হক হলের নুর মোহাম্মাদ , গোলাম রাব্বি সিয়াম, আমিনুল ইসলাম শিহাব, অনিকুর রহমান , মুহিব্বিন হোসেন সরদার , মো. কাউসার, মো. শরিফুল ইসলাম, সলিম আবেদিন ফাহিম , তানভীর রহমান, ফাহিম ফয়সার অর্নব ও অমর একুশে হলের নাফসি আহমেদকেও মুচলেকা দিতে হবে। পরে আবারও অপরাধের প্রমাণ পেলে কঠোর শাস্তি এবং অভিভাবকেরা মুচলেকা দেবেন মর্মে তাঁরা (শিক্ষার্থীরা) মুচলেকা দেবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১ নভেম্বর কুয়েটে আন্তহল ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। ওই দিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অমর একুশে হল ও ড. রশিদ হলের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রেফারির এক সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে অমর একুশে হলের সমর্থদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খেলা গোলশূন্য ড্র হলে অমর একুশে হলের সমর্থকেরা রেফারি শাহ আলমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁর সহকর্মী আকবার এগিয়ে এলে তাঁর ওপরও হামলা চালান অমর একুশে হলের সমর্থকেরা। এ সময় ফজলুল হক হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী রেফারিকে মারধরের ওই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। অমর একুশে হলের ছাত্ররা ফজলুল হক হলের ছাত্রদের ভিডিও করতে বাধা দিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর ক্যাম্পাসের হলগুলোয় ছড়িয়ে পড়লে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। রাতে দুই হলের মুখোমুখি অবস্থানে হল প্রভোস্টরা হলে ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।