Thank you for trying Sticky AMP!!

কোভিডকালে কীভাবে শিখছে শিশুরা

হোম স্কুলের কার্যক্রম এভাবে চলে

প্রযুক্তির কল্যাণে প্রতিনিয়ত বিশ্ব নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করছে, উৎকর্ষতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আবার একই সঙ্গে বর্তমান পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ রয়েছে, অনেক শিশু রয়েছে, যাদের ন্যূনতম শিক্ষা পাচ্ছে না, সমৃদ্ধির এই পথ তাদের জন্য অনেক সংকীর্ণ। বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৭৭৩ মিলিয়ন মানুষের প্রাথমিক শিক্ষা (বেসিক লিটারেসি) নেই, আর করোনাভাইরাসের জন্য ১ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন শিশুর শিক্ষা বিঘ্নিত হয়েছে, যার একটি বড় কারণ হচ্ছে, প্রযুক্তির সুবিধা সবার মধ্যে সমানভাবে না থাকা (United Nation, ২০২০)। অনেক শিশুর প্রযুক্তির প্রাপ্যতা না থাকায় এ মহামারিতে শিক্ষাক্ষেত্রে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে।

ফাইল ছবি

ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি (বিইপি) ১৯৮৫ সাল থেকেই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক ও বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে। এই উপানুষ্ঠানিক বিদ্যালয়গুলো এমনভাবে পরিচালনা করা হয়, যেন তা শিশুদের বাড়ির আশপাশেই থাকে, তাদের সুবিধাজনক সময়ে তারা বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ করতে পারে। অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে, বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম ও শিখন শেখানো উপকরণের মাধ্যমে তাদের পাঠ পরিচালনা করা হয়ে থাকে। মূলত চার বছরের কোহর্ট মডেলের মাধ্যমে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার স্তর সম্পন্ন করা হয় ও পরবর্তীকালে যেন আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় (৬ষ্ঠ শ্রেণি বা ভোকেশনাল শিক্ষা বা স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) অংশগ্রহণ করতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়।

২০১৭ সালে গণশিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পরা ও কখনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি, এমন শিশুদের জন্য ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন’ প্রোগ্রাম গ্রহণ করে। এখানে ব্র্যাকের কোহর্ট মডেলসহ মোট চারটি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা মডেল গৃহীত হয়। ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি এ প্রোগ্রামের ‘পাইলট’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে গাইবান্ধায় ৩৩৩টি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্র ও চট্টগ্রামে ৩৩৩টি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করে, যেখানে প্রায় ২০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পরা শিক্ষার্থী আবার শিক্ষা লাভ করছে। এ ছাড়া এ প্রোগ্রামের আয়তায় ঢাকা ও কুমিল্লা জেলায় প্রায় ৮৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ২ হাজার ৮০০টি শিক্ষাকেন্দ্র শুরু করবার কাজ চলছে।

করোনাভাইরাস রোধে বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা যেন ঘরে বসে শিক্ষার সুযোগ পায়, সে লক্ষ্যে সংসদ টিভিতে সব শ্রেণির পাঠ প্রচার শুরু করে। প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদানের মধ্যে সম্পৃক্ত রাখতে রেডিওর মাধ্যমেও পাঠ প্রচার করা হয়।

হাত ধোয়ার স্থানটি এমন হতে পারে

বিইপি সরকারী এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায়, টিভি ও রেডিওর মাধ্যমে পাঠ পরিচালনায় সাহায্য করে এবং কমিউনিটিকেও সম্পৃক্ত করে যেন এসব শিখনমূলক উদ্যোগে শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। কিন্তু এ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্রের বেশির ভাগ শিশুরই সংসদ টিভি দেখার সুযোগ নেই। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভরন্যান্স ও ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) তথ্য হিসাবে গ্রামে মাত্র ১৬ শতাংশ ও শহরে মাত্র ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী সংসদ টিভিতে প্রচারিত পাঠ দেখতে এবং তাদের কাছে এ প্রযুক্তির সুবিধা নেই, ইন্টারনেট তো আরও প্রতুল (Rahman, Kabir, Jahan, & Islam, 2021)। এ ছাড়া বিইপির আউট অব স্কুল চিলড্রেন পাইলট প্রোগ্রামের ২০২১ সালের জুন মাসের মনিটরিং রিপোর্টে দেখা যায়, যারা সংসদ টিভিতে প্রচারিত পাঠ দেখত, তাদের মধ্যে শহরে ৪৪ শতাংশ এবং গ্রামে ৩৩ শতাংশ পরবর্তীকালে পাঠে অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু প্রান্তিক এই জনগণের সবচেয়ে সহজলভ্য প্রযুক্তি হলো মুঠোফোন। বিইপি সাধারণ মুঠোফোনের ‘কনফারেন্স কল’–এর সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে হোম স্কুলের পরিকল্পনা করে। যেকোন মুঠোফোনে একসঙ্গে পাঁচজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা যায় কনফারেন্স কলের মাধ্যমে। মুলত ঝরে পরা শিশু বা এমন শিশু যারা কখনোই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি, এমন শিশুরা যদি আবারও দীর্ঘদিন শিক্ষার বাইরে থাকে, তাহলে তাদের আবার ঝরে পরার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এর সঙ্গে শিখন ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বিইপি হোম স্কুলের কার্যক্রম শুরু করে।

হোম স্কুলের কার্যক্রম

এখানে একজন শিক্ষক তিন থেকে চারজন ছাত্রের সঙ্গে সপ্তাহে দু–একবার ২০ মিনিটের দলগত ফোনালাপের (কনফারেন্স কল) মাধ্যমে পাঠ নিয়ে থাকে। এই উদ্দ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল স্কুল বন্ধ থাকার পরও শিশুরা যেন পাঠের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে। এ ছাড়া শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়। এই মহামারির মধ্যে শিশুরা যেন সুরক্ষিত থাকে, নিরাপদ থাকে ও শিখন কাজেও সম্পৃক্ত থাকে, তা নিশ্চিত করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় এবং তাদের পরিবার ও সমাজে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যায়।

যেসব শিক্ষাকেন্দ্রে হোম স্কুল কার্যক্রম ছিল না, সেখানে শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয় প্রতিদিন ন্যূনতম পাঁচজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে, তাদের পাঠের ব্যাপারে নির্দেশনা দিতে ও তাদের সুরক্ষার খেয়াল রাখতে। মহামারির পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে একাডেমিক ক্যালেন্ডার করে দেওয়া হয় ও শিশুরা যেন সে অনুযায়ী সাপ্তাহিক রুটিনমাফিক পাঠ সম্পন্ন করতে পারে, সে লক্ষ্যে শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ে কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। শিক্ষকের পাশাপাশি কর্মীরাও নিয়মিত শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

এ ছাড়া মহামারিতে আক্রান্ত ও মৃত সংখ্যা বিবেচনায় রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো আমাদের শিক্ষকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছে ও দলগতভাবে সংক্ষিপ্ত পাঠ পরিচালনা করেছেন। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের সাপ্তাহিক রুটিন ঠিকমতো মেনে চলতে পারে ও পাঠে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বা জটিল বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হলে শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারে।

এ মহামারির শুরু থেকেই শিশুদের শিক্ষা ও সুরক্ষার পাশাপাশি কীভাবে করোনা পরবর্তী সময়ে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা যায়, তা নিয়ে বিইপি পরিকল্পনা শুরু করে। মহামারি পরবর্তী সময়ে শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে, যেখানে প্রযুক্তি একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিশুদের শিক্ষাকে স্কুলের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ না রেখে ছড়িয়ে দেওয়া যায় এবং ২১ শতকের স্কিল যেন শিশুরা অর্জন করতে পারে, সে লক্ষ্যেও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে মহামারি পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু শিখন কার্যক্রম শুরু করবার পরিকল্পনা করছে। শিশুরা যেন শ্রেণিকক্ষের বাইরেও বাড়িতে তাদের অবসর সময়ে দলগতভাবে শিখতে পারে সে লক্ষ্যে ‘চিলড্রেনস লার্নিং গ্রুপ (সিএলজি)’ গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। পাঠের বিশেষ অংশ ও শিশুদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বিষয় তারা দলগতভাবে শেখার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া ২১ শতকের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘প্রকল্পভিত্তিক শিক্ষা’ পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে শিশুরা নিজেরা বিভিন্ন প্রকল্প সম্পন্ন করবার মাধ্যমে যেন শেখার সুযোগ পায়, সে লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ দুই ধরনের সংযোজন শিশুদের শিখনকে আরও আনন্দময় করে তুলবে ও দলগত কাজের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ পাবে।

ফাইল ছবি

ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি মহামারির শুরু থেকেই আশঙ্কা করে আসছিল, দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকবার ফলে একটি বড় শিখন ঘাটতি তৈরি হবে। ইতিপূর্বে বিভিন্ন দুর্যোগ ও মহামারির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কেমন শিখন ঘাটতি হয়েছিল, তা থেকে ধারণা নিয়ে এই মহামারির শিখন ঘাটতি অনুমান করেছে। শিক্ষাকেন্দ্রগুলো পুনরায় শুরু হলে যেন দ্রুত এই শিখন ঘাটতি কমিয়ে আনা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিইপি একটি ‘রেমিডিয়াল’ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এখানে মূলত বিষয়ভিত্তিক প্রান্তিক যোগ্যতাকে বিবেচনায় রেখে ও শ্রেণিভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যাতাকে ‘অবশ্যই শিখতে হবে’, ‘শেখা উচিৎ’ ও ‘শিখলে ভালো’ এ তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ শ্রেণিবিভাগের ওপর ভিত্তি করে একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার গঠন করা হয়েছে, যেখানে একজন শিক্ষার্থী শ্রেণিতে পাঠদান শুরু হলে তার আগের শ্রেণির পাঠ দিয়ে শুরু করতে পারে ও ক্রমান্বয়ে নতুন শ্রেণির পাঠ শুরু করবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিইপি ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পার্টনার এনজিওর সব জ্যেষ্ঠ মাঠপার্যায় কর্মীদের চার দিনের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব শিক্ষকদেরও এ রেমিডিয়াল পরিকল্পনা নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিইপি মহামারির শুরু থেকেই শিক্ষাকেন্দ্র পুনরায় শুরু করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের বিদ্যালয় পুনরায় শুরু করার যে নীতিমালা রয়েছে, এর ভিত্তিতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এ নীতিমালায় বেশ কিছু নতুন ব্যবস্থার উল্লেখ রয়েছে। শিশুরা যেন শিক্ষাকেন্দ্রেই হাত ধুতে পারে, সে লক্ষ্যে হাত ধোয়ার ব্যাবস্থা (হ্যান্ডওয়াশ স্টেশন) করার পুরো প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। শিশুদের নিজেদের মধ্যে যেন ন্যূনতম তিন ফুট দূরত্ব বজায় থাকে ও শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কেউ যেন কারও সরাসরি সংস্পর্শে না আসে, সে লক্ষ্যে দুই শিফটের শ্রেণির পরিকল্পনা করা হয়েছে ও শিশুদের বসবার স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয় পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।

এ মহামারি আমাদের শিখিয়েছে প্রযুক্তির প্রাপ্ততা দুর্যোগকালে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এই প্রযুক্তিকে কীভাবে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় সংযুক্ত করা যায়, তার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বিইপির আউট অব স্কুল চিলড্রেন পাইলট প্রোগ্রামের চারটি শিক্ষাকেন্দ্রে ও ব্রিজ বিদ্যালয়ের ৪০টি শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষার্থীকে নিয়ে ‘কম্পিউটার এইডেড লার্নিং’ পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রেখে এখন মূলত ‘হোম বেসড’ কার্যক্রমকে কেন্দ্র করেই পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবাইয়িত হচ্ছে। এই শিখনকেন্দ্রগুলোয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের কাছে বড়ি প্রদান করা হয়েছে যেন এর মাধ্যমে তাঁদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ‘ডিজিটাল কন্টেন্ট’ ব্যবহার করতে পারেন। এই কর্মসূচি মূল্যায়ন ও শিখনকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য একদল গবেষক কাজ করছেন।

এ মহামারি আমাদের জন্য সম্পূর্ণ একটি নতুন অভিজ্ঞতা এবং দেখিয়েছে প্রান্তিক শিশুরা এ ধরনের পরিস্তিতিতে কতটা নাজুক। প্রযুক্তির চাহিদা অতীতের চেয়ে এখন অত্যন্ত ব্যাপক। আমরা যদি এই শিশুদের মৌলিক সাক্ষরতা নিশ্চিত করতে চাই তাহলে প্রযুক্তির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা ও তার উপযুক্ত ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। এ মহামারির অভিজ্ঞতার আলোকে প্রযুক্তির সাহায্যে কীভাবে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি কাজ করে যাচ্ছে। ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি আশা করে দ্রুতই মহামারির কারণে সৃষ্ট শিখন ঘাটতি কমিয়ে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে, যেন শিশুরা শিক্ষার আলোয় নিজেদের আলোকিত করে তুলতে পারে।

*লেখক মো. মাহমুদ হাছান, চিফ অব পার্টি, আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি এবং মো. ফখরুল ইসলাম, ম্যাটেরিয়াল ডেভেলপার ও কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্পেশালিস্ট, আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি।

তথ্যসুত্র

Rahman, A., Kabir, E., Jahan, N., & Islam, M. S. (2021). COVID-19 and the Deepening Learning Crisis—How Can We Build Forward Better? Dhaka: BRAC Institute of Governance and Development .
United Nation. (2020, August 5). International Literacy Day 2020. Retrieved from https://www.un.org/en/observances/literacy-day