Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রাথমিকে সশরীর ক্লাস ১ মার্চ থেকে

প্রাথমিক স্কুলে আগামী ১ মার্চ মঙ্গলবার সশরীরের ক্লাস শুরু হচ্ছে। তবে ক্লাস হবে সীমিত পরিসরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে। আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

এর আগে গত বুধবার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়। তখন জানানো হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলতে আরও প্রায় দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও ক্লাস হবে আগের মতো স্বল্প পরিসরেই। আর যে শিক্ষার্থীরা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে, তারাই কেবল শ্রেণিকক্ষে যাবে। বাকিদের দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ও টেলিভিশনেই পাঠদান হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকে ক্লাস হবে সীমিত পরিসরে। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে না। সপ্তাহের নির্ধারিত একেক দিন একেক শ্রেণির ক্লাস হবে। আবার সবই হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়াতেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।

দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে রোগী বাড়তে শুরু করে। অমিক্রনের দাপটে নতুন রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার দ্রুত বাড়তে থাকে। গত ৬ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। এর দুই সপ্তাহের মাথায় ২০ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় দৈনিক রোগী শনাক্ত ১৫ হাজারের ওপরে উঠেছিল। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা ১০ হাজারের ওপরেই ছিল।

দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৩ হাজার ৫৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় করোনায় আক্রান্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল স্বল্প পরিসরে। সব শ্রেণির ক্লাস সব দিন হচ্ছিল না। কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় এ ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পরে তা আবার বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।