Thank you for trying Sticky AMP!!

গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বেড়েছে

ফাইল ছবি

গুচ্ছ ভিত্তিতে অনুষ্ঠেয় ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক আবেদন কার্যক্রমের সময় বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা কমানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির ষষ্ঠ সভায় (জরুরি) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক আবেদনে সরকারঘোষিত লকডাউন শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০দিন পর্যন্ত চলবে। মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের  ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ কমানো হয়েছে। তবে বিজ্ঞান শাখায় আবেদনের সব শর্ত অপরিবর্তিত রয়েছে।

সমন্বিত ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য কামালউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভা শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানবিক শাখায় মোট জিপিএ-৬ এবং বাণিজ্য শাখায় জিপিএ-৬.৫০ যাদের থাকবে, তারাও নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। তবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদা করে ন্যূনতম জিপিএ-৩ থাকতে হবে। নতুন করে আবেদনকারীরা ২১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন। তবে বিজ্ঞান শাখায় আবেদনের সব শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেসব শিক্ষার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে, তাঁরা সবাই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিক আবেদনকারীদের থেকে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৬০০ টাকা জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। চূড়ান্ত আবেদনের সময়সীমা পরে জানানো হবে।

নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ ন্যূনতম ৮.০০ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে।

যেভাবে হবে পরীক্ষা

দেড় ঘণ্টা সময়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি বিভাগের পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রস্তুত করে ওয়েবসাইটে (gstadmission.org) প্রকাশ করা হবে। এরপর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের শর্ত উল্লেখ করে আবেদন আহ্বান করবে এবং মেধাক্রম অনুসারে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

গুচ্ছ পদ্ধতির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।