Thank you for trying Sticky AMP!!

আমাজনের ১৯০০০ কর্মী করোনায় আক্রান্ত

আমাজনের ১৯ হাজারের বেশি কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন

অনলাইনে বেচাকেনার ওয়েবসাইটভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আমাজনের ১৯ হাজারের বেশি কর্মী এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম ধনী জেফ বেজোসের আমাজন। কারণ, করোনাকালে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এর আগেই সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির ১৩ লাখ ৭০ হাজার কর্মীর মধ্যে ১৯ হাজার ৮১৬ জন করোনায় আক্রান্ত। শতাংশের হিসাবে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ কর্মী করোনায় আক্রান্ত।

কোভিড–১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর আমাজনের বিক্রি বেড়ে গেছে। এ বছরের এপ্রিল, মে ও জুন—এই তিন মাসে বিক্রি বেড়েছে ৪০ শতাংশ (৮৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। ১৯৯৪ সালে কোম্পানির যাত্রা শুরুর পর এমন বিক্রি আর হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬৫০টি শহরে ছড়িয়ে রয়েছে আমাজনের ব্যবসা। এসব শহরের প্রতিটিতে রয়েছে কোম্পানির ওয়্যারহাউস। আর ওয়্যারহাউসসহ বিভিন্ন পরিষেবা মিলিয়ে কর্মরত আছেন প্রায় ১৩ লাখ ৭০ হাজার কর্মী।

সম্প্রতি আমাজনের কিছু লজিস্টিক সেন্টার ও ওয়্যারহাউসের কর্মীরা করোনাভাইরাস সুরক্ষায় কোম্পানির নেওয়া ব্যবস্থা যথেষ্ট নয় বলে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, সহকর্মীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর ঠিকমতো জানানো হচ্ছে না। দেশে মহামারি শুরুর দিকে কর্মীরা বিক্ষোভও করেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে এবার বিবৃতি দিয়ে আক্রান্তের পরিসংখ্যান জানিয়ে দিল আমাজন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত কোম্পানির ১৯ হাজার ৮১৬ কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মহামারির শুরু থেকেই আমরা কর্মীদের সচেতন করে চলেছি। নতুন সংক্রমণের খবর পেলেই ভবনের সবাইকে সে ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।

আর সংক্রমণ হয়েছে, যাঁরা বাইরে পণ্য সরবরাহসহ অন্য কাজে নিয়োজিত তাঁদের।’
নিজেদের কর্মীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার হার কম বলেই মনে করছে ই-কমার্স জায়ান্টটি। কর্তৃপক্ষের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের মধ্যে যে সংক্রমণ হার রয়েছে, তা থাকলে ৩৩ হাজারের বেশি কর্মী আক্রান্ত হতেন। তথ্যসূত্র: বিবিসি