Thank you for trying Sticky AMP!!

ইলন মাস্ক সেজে ২০ লাখ ডলার আত্মসাৎ

টুইটারে দিনভর ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে আলোচনা করেন ইলন মাস্ক

আপনি ইলন মাস্ককে ডিজিটাল মুদ্রা দেবেন। তিনি সে অর্থ বিনিয়োগ করবেন। এরপর ঘরে বসে লাভের টাকা গুনবেন আপনি। একদম সহজ হিসাব। তাঁর মতো বিলিয়নিয়ার নিশ্চয় জলে টাকা ঢেলে দেবেন না! তবে ঘটনা ভিন্ন।

ইলন মাস্ক সেজে লাভজনক বিনিয়োগের কথা বলে গত ছয় মাসে ২০ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি-কেলেঙ্কারি সম্পর্কে সচেতন করতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) গত সোমবার প্রকাশ করা প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য।

এফটিসির অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার মানুষ নানাভাবে ডিজিটাল মুদ্রায় সব মিলিয়ে প্রায় আট কোটি ডলার হারানোর কথা জানিয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এমন প্রতারণার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১০০০ শতাংশ।

বিনিয়োগকারীদের বিটকয়েন এবং ডোজকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। কারণ, ইলন মাস্ক এই ভার্চ্যুয়াল মুদ্রাগুলো নিয়ে টুইটারে দিনভর আলোচনা করায় তা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা সহজ ছিল।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে পাঠানো এক ই-মেইলে এফটিসির মুখপাত্র বলেন, ছদ্মবেশী জালিয়াতদের ফাঁদে পড়ার ১৩৩টি অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা। অভিযোগকারীরা বলেছেন, ইউটিউবে তাঁরা দেখেছেন, ইলন মাস্ক মানুষকে বিটকয়েন বিলিয়ে দিচ্ছেন।

অনেকে আবার ইলন মাস্কের টুইট ভেবে ভুল করেছেন। টুইটগুলোয় বিনিয়োগকৃত বিটকয়েন তাৎক্ষণিকভাবে দ্বিগুণ করার কথা বলা ছিল।

ইলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান টেসলা গত ফেব্রুয়ারিতে ১৫০ কোটি ডলারের বিটকয়েন কেনে। মার্চে তিনি ঘোষণা দেন, এখন থেকে ডিজিটাল মুদ্রায় টেসলার গাড়ি কেনা যাবে। এরপরই হু হু করে বাড়তে থাকে বিটকয়েনের বিনিময় মূল্য। সে সঙ্গে ডিজিটাল মুদ্রার গ্রহণযোগ্যতাও বেড়ে যায়।

ইলন মাস্ক অবশ্য চলতি মাসে বলেছেন, বিটকয়েন তৈরিতে জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে আপাতত বিটকয়েনে লেনদেন বন্ধ রাখছে টেসলা।

বিটকয়েনে লেনদেন গ্রহণযোগ্য করে তোলায় বড় ভূমিকা পালন করেন ইলন মাস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইন এবং ব্যবসায়ের অধ্যাপক জোসেফ এ গ্রান্ডফেস্ট এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারটি আমলে নিলে প্রতারণা যে বাড়ছে, তাতে খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু নেই।

এ ধরনের প্রতারণার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তিনি।

বলেছেন, ‘ইলন মাস্ককে ক্রিপ্টোকারেন্সি পাঠানোর দরকার নেই। তাঁর কাছে দরকারের চেয়ে বেশিই আছে।’

আবার ডেটিং ওয়েবসাইটেও মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সি-প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে এফটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, ২০ থেকে ৪৯ বছর বয়সীরা ক্রিপ্টো-প্রতারণার শিকার বেশি হয়েছেন।

ডিজিটাল মুদ্রায় কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা না থাকায় সে অর্থ ফিরিয়ে আনার আশা খুব ক্ষীণ। গ্রান্ডফেস্ট বলেছেন, প্রতারণাকারীদের শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন।

সূত্র: দ্য সিয়াটল টাইমস