Thank you for trying Sticky AMP!!

এবার ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালান দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা। এরপর সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে ফেসবুকও। এবার একই পথে হাঁটল গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব। গতকাল মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের চ্যানেল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে নিয়ম ভেঙে সন্ত্রাসকে উসকে দেওয়ার অভিযোগে তার একটি ভিডিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইউটিউবের এক বিবৃতিতে বলেছে, সম্ভাব্য সহিংসতার আশঙ্কায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের চ্যানেলে আপলোড করা নতুন ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চ্যানেলটিতে সাময়িকভাবে নতুন কোনো কিছু আপলোড করা যাবে না। এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আগামী সাত দিন।

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্রবাদী সমর্থক কিউঅ্যাননের সঙ্গে জড়িত থাকায় ৭০ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার।

৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের আহ্বানে তাঁর উগ্র সমর্থকেরা রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হন। একপর্যায়ে তাঁরা কংগ্রেস ভবনে হামলা চালান। এ হামলার ঘটনায় পাঁচ ব্যক্তি নিহত হন। ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও কংগ্রেসের সদস্যদের জীবনও হুমকির মুখে পড়েছিল। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এই রক্তক্ষয়ী ঘটনার জন্য ট্রাম্পের উসকানিকে দায়ী করা হলেও তিনি যথারীতি নির্বিকার। তাঁর মধ্যে নেই কোনো দুঃখবোধ।

ট্রাম্পের ভাষ্য, ক্যাপিটলে জড়ো হতে সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁর দেওয়া বক্তব্য পুরোপুরি ঠিক ছিল। লোকজন তাঁর বক্তৃতা বিশ্লেষণ করে এমনটাই নাকি জানিয়েছে। যদিও ট্রাম্পের নিজ দলের নেতারাই তাঁর বক্তব্যকে উসকানিমূলক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ওই ঘটনায় উসকানির অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সমর্থকদের সমাবেশে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং হামলার পর তাঁদের ‘দেশপ্রেমিক’ বলেও আখ্যায়িত করেন।