Thank you for trying Sticky AMP!!

জ্যাক ডরসির পর টুইটারের নতুন সিইও হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল

কঙ্গনা বিদায় দিলেন ‘চাচাকে’, বন্ধুকে স্বাগত জানালেন শ্রেয়া

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত এমনিতেই ‘ঠোঁটকাটা’ হিসেবে পরিচিত। যেকোনো ইস্যুতে কিছু না বললে যেন ঠিক শান্তি পান না। এর ফলও পেয়েছেন অনেকবার। এই ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য গত মে মাসে কঙ্গনাকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে টুইটার কর্তৃপক্ষ

সেবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির সমর্থক কঙ্গনা। তা ছাড়া সাম্প্রদায়িক প্ররোচনামূলক টুইট করায় বারবার নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হয়তো সে কারণেই টুইটার এবং এর তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসির ওপর খানিকটা ক্ষোভ ছিল কঙ্গনার মনে।

‘রিক্যাপ’ দেখানো শেষ। এবার বর্তমানে আসা যাক। গত সোমবার টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জ্যাক ডরসি। তাঁর জায়গায় আসছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল। এক দশক ধরে টুইটারে কাজ করছেন পরাগ। সর্বশেষ তিনি প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শ্রেয়ার সঙ্গে ছবিটি ২০১৫ সালে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন পরাগ (বাঁয়ে)

পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে টুইট করেছিলেন ডরসি। আবার অনেকে সে খবর পোস্ট করেছেন টুইটারে। তেমনই এক টুইটের স্ক্রিনশট নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের স্টোরিজে পোস্ট করে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘বাই চাচা জ্যাক।’

জ্যাকের বিদায়ে কঙ্গনা আনন্দিত হয়েছেন, তা সরাসরি বলার সুযোগ নেই। তবে সে জায়গায় পরাগ আগরওয়ালের আগমনে খুব খুশি হয়েছেন ভারতীয় গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। কারণ, পরাগ তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু। টুইটারে শ্রেয়া লিখেছেন, ‘অভিনন্দন পরাগ, তোমাকে নিয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিত।’

এরপর নেটিজেনরা তাঁদের দুজনের পুরোনো ছবি এবং টুইট খুঁজে বের করে পোস্ট করতে শুরু করেন। সঙ্গে পরাগের জন্য অভিনন্দনের বন্যা বইয়ে দেন টুইটারে। আর তাতে যোগ দিয়েছেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এবং গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই।

পরাগ কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক করেন মুম্বাইয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) বোম্বে থেকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির টুইটার পেজ থেকেও পরাগকে অভিনন্দন জানানো হয়।

আইআইটি বোম্বের পর যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি করেন। সে সময় ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেন মাইক্রোসফট, ইয়াহু, এটিঅ্যান্ডটি ল্যাবসের গবেষণা দলে।

পরাগ সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে টুইটারে যোগ দেন ২০১১ সালে। ২০১৭ সালে তাঁকে প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা করা হয়। আর এবার এল সিইও হওয়ার খবর।

Also Read: টুইটারের নতুন সিইও কে এই পরাগ