Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গার এক দিন আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রিন্স হ্যারি

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে গত ৬ জানুয়ারি হামলা চালায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা। ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের উসকানিমূলক পোস্ট থেকেই ছড়িয়ে পড়ে সেই দাঙ্গা। এদিকে ব্রিটিশ রাজপুত্র হ্যারি বলছেন, এমন দাঙ্গা যে হতে পারে, সে ব্যাপারে ঘটনার এক দিন আগেই তিনি সতর্ক করেছিলেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডোরসিকে।

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান দুদিনের রিওয়্যার্ড সম্মেলনে প্রিন্স হ্যারি বলেন, ‘তাঁর প্ল্যাটফর্ম (টুইটার) একটি দাঙ্গা সংঘটিত করার সুযোগ করে দিচ্ছে বলে তাঁকে (ডোরসি) আমি সতর্ক করেছিলাম। ই-মেইলটি আগের দিন পাঠানো হয়েছিল। এরপর ঘটনাটি ঘটল এবং সে থেকে আমি তাঁর কাছ থেকে আর কিছু শুনিনি।’

জ্যাক ডোরসি ইস্যুটি নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া তথ্য এবং অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভূমিকা রাখছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয় সম্মেলনটির অধিবেশনে।

স্ত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন। গতকাল মঙ্গলবার সম্মেলনের প্রথম দিন অতিথি বক্তা হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন তিনি। সে সময় তাঁকে অলাভজনক সংস্থা আর্চওয়েলের সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

স্ত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন

‘ঘৃণা, বিভক্তি এবং মিথ্যায় সংজ্ঞায়িত হচ্ছে ইন্টারনেট’

অনলাইন এবং গণমাধ্যমে নিজের তিক্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে ডিউক অব সাসেক্স বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো ভুয়া তথ্যের প্রসার রোধে যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না। আরও বলেন, ‘ঘৃণা, বিভক্তি এবং মিথ্যায় সংজ্ঞায়িত হচ্ছে ইন্টারনেট। এটা সঠিক পথ হতে পারে না।’

সপ্তাহ দুয়েক আগে একটি তথ্য বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান দাবি করে, টুইটারে ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্সকে লক্ষ্য করে ছড়ানো ঘৃণামূলক পোস্টগুলো কেবল ৫৫টি অ্যাকাউন্ট থেকে এসেছে।

ক্যাপিটল ভবনের দাঙ্গা নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। গত মার্কিন নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয় মেনে নিতে না পারলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা গত ৬ জানুয়ারি হামলা চালিয়ে বাইডেনের বিজয়ের সরকারি নথি নষ্ট করে। সে সময় ভবনটিতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলছিল।

সে দাঙ্গায় অংশ নেওয়ার জন্য ৬৭০ জনের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়।

সাক্ষ্য দিতে ট্রাম্পের কয়েকজন কাছের সহযোগীদের মঙ্গলবার ডেকেছে তদন্তকারী কমিটি। এই দফায় হোয়াইট হাউসের সাবেক এক প্রেস সচিব, এক জ্যেষ্ঠ নীতিমালা উপদেষ্টা এবং একজন ব্যক্তিগত সহকারীকে তলব করা হয়।

হামলার ব্যাপারটি ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে থেকেই জানতেন কি না, তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে তদন্তে।