Thank you for trying Sticky AMP!!

ঘরে থেকে কাজ করায় লাভ বেশি কার

করোনায় ঘরে বসে কাজ করতে করতে আমাদের হয়তো একঘেয়েমি এসে গেছে, তবে বগল বাজাচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সের সেবা জুম।
করোনাকালের পরও ঘরে থেকে কাজ করার ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছে জুম

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক ফলাফল পেশ করেছে গত সোমবার। সেখানে বলা হয়, ৩১ জানুয়ারিতে সমাপ্ত অর্থবছরে মোট আয় ছিল ২৬০ কোটি ডলার, তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩২৬ শতাংশ বেশি। আর ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মোট বিক্রি ছিল ৮৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার।

জুমের এমন সাফল্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক ইউয়ান বলেছেন, ‘বিশ্বস্ত সহযোগী এবং যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করার মাধ্যম হিসেবে আমাদের ভূমিকায় আমরা বিনীত। প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত সাড়া দিতে পারায় বছরজুড়ে বরাবরই আমাদের আর্থিক ফলাফল ভালো ছিল।’

জুমের বয়স ৯ বছর হলেও করোনাকাল শুরু হলে আলোচনায় আসে। আর এখন তো ভিডিও কনফারেন্সের সমার্থকে পরিণত হয়েছে। অনেকে অবশ্য জুমে কাজ করতে করতে ক্লান্তি ও অবসাদের কথা জানিয়েছেন। তবে করোনাকাল যদি আরও দীর্ঘ হয় তাহলে এর বিকল্প ভালো সেবা খুব বেশিও নেই।

জুমের বয়স ৯ বছর হলেও করোনাকাল শুরু হলে আলোচনায় আসে

প্রতিষ্ঠানটির আশা, ২০২১ সালেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আর গত ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত প্রান্তিকে ৯০ কোটি ডলার আয়ের প্রত্যাশা তাদের।

জুমের বিনিয়োগকারীরা অবশ্য তেমন আশাবাদী হতে পারছেন না। তাঁদের দুশ্চিন্তার কারণ হলো, করোনার ভ্যাকসিন আসায় শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসা শুরু করবেন আর তখন জুমের ব্যবসাতেও মন্দাভাব দেখা যেতে পারে।

তবে কর্মজীবনে করোনার প্রভাব এত সহজে যাবে না বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। পিউ রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালের আগে প্রতি পাঁচ কর্মীর একজন বলেছেন, তাঁদের কাজ বাড়ি থেকে করা যায়। এখন ওই কর্মীদের ৭১ শতাংশ বাড়ি থেকে তাঁদের কাজ সারছেন। আর অর্ধেকের বেশি করোনাকালের পরও বাড়ি থেকে কাজ সারতে চান বলে জানিয়েছেন।