Thank you for trying Sticky AMP!!

তিনি মুখ খুললেই বের হতো ছয় কোটি ডলার

পাসওয়ার্ড বা পিন কোড হারিয়ে বিটকয়েনের মতো ভার্চ্যুয়াল অর্থ আটকা পড়ার খবর ইদানীং প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। প্রতীকী ছবি

বিটকয়েন জিনিসটা অদ্ভুত। কোনো জোরজবরদস্তি খাটে না। মনে নেই, হারিয়ে গেছে, কই যে রাখলাম বলে দুবার মাথা চুলাকালেই হলো। মুখ ফুটে পাসওয়ার্ড না বললে কারও সাধ্য নেই ওই অর্থ উদ্ধার করে।

চলুন ঘটনা জেনে নেওয়া যাক। জার্মান পুলিশ প্রায় ছয় কোটি ডলার মূল্যের বিটকয়েন জব্দ করেছে। তবে জব্দ করে তারা নিজেরাই জব্দ হয়ে গেছে। সে অর্থ আর উদ্ধার করা যাচ্ছে না। কারণ, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে মানুষটার কাছ থেকে বিটকয়েন জব্দ করা হয়েছে, তিনি মুখ খুলছেন না। যেন পাসওয়ার্ড না বলার পণ করেছেন।

যে মানুষটার কথা এখানে বলা হচ্ছে, তিনি মানুষের কম্পিউটারে গোপনে বিটকয়েন মাইনিং সফটওয়্যার ইনস্টল করে দিতেন। অর্থাৎ মানুষের কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা ব্যবহার করে বিটকয়েন সংগ্রহের চেষ্টা করতেন। তাঁর সাজা হয়েছে, এরই মধ্যে জেল খাটাও শেষ। তবে এই পুরো প্রক্রিয়ায় তিনি একবারও বলেননি, জার্মান কর্তৃপক্ষ কীভাবে বিটকয়েনগুলো উদ্ধার করতে পারে। এখন উলটা প্রশ্ন উঠছে, যদি ব্যবহারই করা না গেল তবে ‘জব্দ’ করা হলো কীভাবে?

এবার বোধ হয় বিটকয়েনের কাজের ধরন নিয়ে দুটো লাইন লেখা যায়। বিটকয়েন হলো ডিজিটাল মুদ্রা। ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ও বলা হয়ে থাকে। সুরক্ষায় ব্যবহার করা হয় গোপন কোড। নগদ অর্থ আমরা যেমন ওয়ালেটে রাখি, ডিজিটাল অর্থ রাখার জন্য আছে ডিজিটাল ওয়ালেট। গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সে ভার্চ্যুয়াল ওয়ালেট খুলতে হয়। আর লেনদেনের সময় এক ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি আরেক ডিজিটাল ওয়ালেটে স্থানান্তর করা হয়। নগদ অর্থের মতো ‘ধরাছোঁয়া’র কোনো ব্যাপার নেই।

পাসওয়ার্ড বা পিন কোড হারিয়ে বিটকয়েনের মতো ভার্চ্যুয়াল অর্থ আটকা পড়ার খবর ইদানীং প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। দিন কয়েক আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট বিটকয়েনের প্রায় ২০ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে আটকা পড়েছে। ডলারের মূল্যমানে যার দাম দাঁড়ায় ১৪ হাজার কোটি ডলার। এই অর্থ ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত বলা চলে।

জার্মান পুলিশের সেই ব্যক্তি হয়তো পাসওয়ার্ড বলে এত এত টাকা হাতছাড়া করবেন না বলে ফন্দি এঁটেছেন। আর যদি সত্যি সত্যি পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে থাকেন, তো মেলায় হারিয়ে যাওয়া সেই ১৪ হাজার কোটি ডলারে যোগ হলো আরও ৬ কোটি ডলারের বিটকয়েন।