Thank you for trying Sticky AMP!!

নিজের অ্যাসপারগার সিনড্রোমের কথা জানালেন ইলন মাস্ক

মার্কিন টিভি অনুষ্ঠান স্যাটার্ডে নাইট লাইভের উপস্থাপনায় এসে প্রথমবারের মতো নিজের অ্যাসপারগার সিনড্রোমের কথা বললেন ইলন মাস্ক। টুইটারে তাঁর অদ্ভুত আচরণ নিয়েও মুখ খোলেন তিনি।

ইলন মাস্ক

নিজেকে অ্যাসপারগার সিনড্রোমে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। গতকাল রোববার মার্কিন টিভি অনুষ্ঠান স্যাটার্ডে নাইট লাইভে (এসএনএল) এসে এ কথা বলেন তিনি।

৪৯ বছর বয়সী এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা অনুষ্ঠানটির ইতিহাসে আমিই প্রথম অ্যাসপারগারে আক্রান্ত হোস্ট।

১৯৭০-এর দশক থেকে চলছে এসএনএল। সাধারণত তারকারা একেকটি পর্বে এসে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে থাকেন। অর্থাৎ অতিথি নিজেই উপস্থাপকের ভূমিকা নেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু মানুষ অবশ্য মাস্কের দাবি প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। কারণ, কানাডীয় কমেডিয়ান ড্যান অ্যাকরয়েড অ্যাসপারগার সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলেন, তিনি এসএনএল উপস্থাপনাও করেছেন।

অ্যাসপারগার সিনড্রোম একধরনের অটিজম। আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাঁদের পারিপার্শ্বিকের ব্যাখ্যা দেন ভিন্নভাবে, আশপাশের পরিবেশ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেন। ইলন মাস্ক এই প্রথম তাঁর সমস্যাটির কথা জনসম্মুখে বললেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়েও মজা করেন ইলন মাস্ক। টুইটারে তাঁর ৫ কোটি ৩০ লাখ অনুসারী। অদ্ভুত সব টুইটের জন্য সমালোচিত হয়েছেন, এমনকি আইনি নোটিশও পেয়েছেন তিনি।

দর্শকদের তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি জানি মাঝেমধ্যে আমি অদ্ভুত কিছু বলি বা পোস্ট করি। তবে আমার মস্তিষ্ক কাজ করে ওভাবেই। যাঁরা অসন্তুষ্ট হয়েছেন, তাঁদের শুধু বলতে চাই, আমি নতুন করে বৈদ্যুতিক গাড়ি উদ্ভাবন করেছি, নভোযানে আমি মানুষকে মঙ্গল গ্রহে পাঠাচ্ছি। আপনি কি ভেবেছেন আমি আর সবার মতো হব?’

অনুষ্ঠানের শেষ দিকে ইলন মাস্ক ডোজকয়েন নামের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা নিয়েও কথা বলেন। এনবিসি জানিয়েছে, ১০০টির বেশি দেশে ইউটিউবে স্যাটার্ডে নাইট লাইভ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

অ্যাসপারগার সিনড্রোম কী

বিবিসির প্রতিবেদনে অ্যাসপারগার সিনড্রোম সম্পর্কে বলা হয়েছে—

  • অ্যাসপারগার সিনড্রোম আজীবন নানাভাবে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।

  • কেউ কেউ এ নামেই রোগটির উল্লেখ করেন, আবার অনেকে অটিস্টিক হিসেবে পরিচিতি দেন।

  • এই সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনো কিছু ভাষায় প্রকাশে সমস্যা হতে পারে, আবার কিছু বুঝতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগতে পারে।

  • স্বাভাবিকভাবে নিজের অনুভূতি প্রকাশও তাঁদের জন্য কঠিন মনে হতে পারে। তবে তাঁরা তুলনামূলকভাবে বেশি সহমর্মী হয়।

  • অ্যাসপারগারে আক্রান্ত কেউ কেউ নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে খুব বেশি মনোযোগী হতে পারে, সেটা সফল ক্যারিয়ারের জন্যও হতে পারে।