Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রতিযোগিতায় জিতলে ইলন মাস্ক দেবেন ১০ কোটি ডলার

ইলন মাস্ক তাঁর অঢেল সম্পদ থেকে ১০ কোটি ডলার একটি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন টুইটারে

ইলন মাস্ক খবরের শিরোনাম হন প্রায়ই। ইদানীং বেশি হচ্ছেন অত্যধিক সম্পদ বৃদ্ধির জন্য। সম্প্রতি টুইটারে গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর সেই অঢেল সম্পদ থেকে ১০ কোটি ডলার তিনি একটি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে দেবেন। প্রতিযোগিতাটি পরিবেশ থেকে কার্বন কমানোবিষয়ক।

পরবর্তী টুইটে তিনি বলেছেন, আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন। আর তাই ঠিক কীভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে, মানদণ্ড কী, বিজয়ী নির্বাচন কীভাবে হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
প্রথম টুইট থেকে ধারণা করা যায়, বাতাসে কার্বন নির্গমনের হার কমিয়ে আনার কোনো পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। অর্থাৎ কলকারখানা থেকে নির্গত কার্বনের প্রভাবে বায়ুদূষণ কমানোর পদ্ধতি নিয়ে কাজ করার কথা বুঝিয়েছেন তিনি।

কিছু স্টার্টআপ এ নিয়ে আগে থেকেই কাজ করছে। তাদের তৈরি যন্ত্রগুলো বাতাস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অণু আলাদা করে হয় মাটির নিচে জমা রাখে, আর না হয় কার্বন-নিরপেক্ষ জ্বালানি তৈরি করে। অন্যরা চেষ্টা করছে খনিজ উপাদান, বৃক্ষ এবং মাটির সাহায্যে বাতাস থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস শুষে নেওয়ার পদ্ধতি উদ্ভাবনে। এ দুই পদ্ধতির কোনোটিই অবশ্য বড় পরিসরে ব্যবহার করা হচ্ছে না। মূল কারণ, খরচ অত্যন্ত বেশি। আরেকটি কারণ, যে গ্যাস ধারণ করা হবে, তার যথেষ্ট ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি এখনো। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতার কথা ভেবে এখন এ খাতে বিনিয়োগ যেমন বাড়ছে, মানুষের আগ্রহও বাড়ছে।

কার্বন নির্গমন কমাতে তহবিল দেওয়ায় ইলন মাস্ক প্রথম নন। সেটা সরাসরি বিনিয়োগ হোক কিংবা পুরস্কার হিসেবে। বছরখানেক আগে কার্বন কমানো, ধারণ করা এবং অপসারণের জন্য ১০০ কোটি ডলারের তহবিল গঠন করে মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ছিল, এ পর্যন্ত মাইক্রোসফট পরিবেশে যত কার্বন নির্গত করেছে, সে পরিমাণ কার্বন অপসারণ করে উল্টো ‘কার্বন-নেগেটিভ’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে চায়।

সরাসরি বাতাস থেকে কার্বন সংগ্রহ করে থাকে ক্লাইমওয়ার্কস, কার্বন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গ্লোবাল থার্মোস্ট্যাট নামের স্টার্টআপগুলো। এরই মধ্যে বহু কোটি ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে তারা। তা ছাড়া কার্বনএক্স নামের একটি প্রতিযোগিতায় কার্বন ডাই–অক্সাইড পুনর্ব্যবহারের পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য পুরস্কার হিসেবে দুই কোটি ডলার দেওয়া হয়। সেখানে ১০ কোটি ডলারের তহবিল নিঃসন্দেহে সাহায্য করবে। হয়তো নতুন কোনো সম্ভাবনার শুরু হবে। তবে কার্বন ইঞ্জিনিয়ারিং নামের প্রতিষ্ঠানটি এর আগে বলেছিল, সরাসরি বাতাস থেকে কার্বন শুষে নেওয়ার কেবল একটি পূর্ণ স্থাপনায় খরচ ৩০ থেকে ৫০ কোটি ডলার পড়ে যায়। অবশ্য হতে পারে, ইলন মাস্ক হয়তো কেবল অনেক পুরস্কারদাতার একজন। তবে এ-ও তো সত্য যে ইলন মাস্কের টুইটারের পর হয়তো অনেকেই এখন এ খাতে আগ্রহী হবে।

সূত্র: এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ