Thank you for trying Sticky AMP!!

যে কারণে ফেসবুক ছাড়লেন তিনি

সফটওয়্যার প্রকৌশলী অশোক চান্দুয়ানি

ফেসবুক যেভাবে ভুয়া তথ্য ব্যবস্থাপনা করে, এর প্রতিবাদ জানিয়ে কোম্পানি ছেড়ে দিলেন এক সফটওয়্যার প্রকৌশলী। তিনি ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘৃণ্য বক্তব্য ছড়িয়ে লাভবান হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

অশোক চান্দুয়ানি নামের ওই ফেসবুক প্রকৌশলী বলেন, সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার মতো বিষয় অপসারণে ফেসবুকের আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা ছড়ানোর পেছনে ট্রাম্পের পোস্ট না সরানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। ওই পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রে লুটপাট শুরু হলে গুলি চালানোর কথা বলেন ট্রাম্প। এর বাইরে অশোক চান্দুয়ানি কেনোসায় সহিংসতা উসকে দেওয়া পোস্ট না সরানোর ব্যর্থতার অভিযোগও তোলেন।

একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকনভ্যালির সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত চাকরির জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হতো ফেসবুককে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কর্মীদের কাছ থেকে নানা বিষয়ে ফেসবুককে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে, যার মধ্যে এর কনটেন্ট নীতিমালার বিষয়ও যুক্ত রয়েছে।

ফেসবুকে সাধারণত সফটওয়্যার প্রকৌশলীর পদটিকে উচ্চ বেতনের গুরুত্বপূর্ণ চাকরি হিসেবে মনে করা হয়।

একই জাতীয় উদ্বেগ প্রকাশের পরে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বেশ কয়েকজন ফেসবুক কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। ট্রাম্পের মন্তব্যের পরে জাকারবার্গ ওই পোস্ট সরাতে অস্বীকৃতি জানানোয় অন্তত তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ফেসবুক ছাড়েন।

Also Read: করোনা নিয়ে ৭০ লাখ ভুয়া পোস্ট সরাল ফেসবুক

এ ছাড়া ফেসবুক ঘিরে কয়েক বছর ধরে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো নির্বাচনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের তথ্যে নজরদারি, মিয়ানমারের গণহত্যার পেছনে উসকানি ছড়ানোর মতো নানা অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে অশোক চান্দুয়ানি ফেসবুক ছাড়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমি ফেসবুক ছেড়ে দিচ্ছি। কারণ, আমি আর প্রতিষ্ঠানটির ঘৃণ্য বক্তব্য কাজে লাগিয়ে লাভ করার পদ্ধতি হজম করতে পারছি না।’

কর্মীর চাকরি ছাড়া নিয়ে ফেসবুকের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ফেসবুক সম্প্রতি ঘৃণ্য মন্তব্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। এর মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র গ্রুপ বাতিল করা ও তাদের প্ল্যাটফর্মে নাগরিক অধিকারকর্মীদের মাধ্যমে স্বতন্ত্র পরীক্ষা করার সুযোগ প্রভৃতি পদক্ষেপ।