Thank you for trying Sticky AMP!!

সাইবার হামলায় হাসপাতালে প্রথম মৃত্যু

সাইবার হামলা

সাইবার হামলার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। কোনো সাইবার হামলায় হাসপাতালে এটিই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। জার্মানির ডাসেলডর্ফ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের নেটওয়ার্কে র‍্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেবাগুলো বিকল হয়ে পড়ে। এরপর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’ হিসেবে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

কোলন শহরের প্রসিকিউটর জানান, ডাসেলডর্ফে এক নারী রোগীকে জরুরি সেবা দেওয়ার কথা ছিল। তবে ৯ সেপ্টেম্বরের সাইবার হামলায় কম্পিউটার সিস্টেম বিকল হয়ে পড়ে। এরপর ওই নারীকে ১৯ মাইল দূরে আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান পুলিশ হয়তো এ জন্য হ্যাকারকে দায়ী করবে।

এদিকে জার্মান সংবাদ পোর্টাল আরটিএল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইবারহামলাটি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিকটবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়কে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। হাসপাতালের সেবা বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে হ্যাকার সে হামলা বন্ধ করে।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সেন্টারের সাবেক প্রধান নির্বাহী কিয়ারন মারটিন বলেন, ‘নিশ্চিত হলে সরাসরি সাইবারহামলার সঙ্গে যুক্ত প্রথম মৃত্যুর ঘটনা হবে এটি। যদিও র‍্যানসমওয়্যারের উদ্দেশ্য অবৈধভাবে অর্থ আয়, তবে এটি কম্পিউটার সিস্টেমকে বিকল করে দেয়। সুতরাং আপনি যদি হাসপাতালে সাইবারহামলা চালান তবে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।’

র‍্যানসমওয়্যার হলো এক ধরণের ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার। নেটওয়ার্ক বা কম্পিউটার সিস্টেমে র‍্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে ব্যবহারকারীর ফাইল জব্দ করে হ্যাকার। এরপর মুক্তিপণের বিনিময়ে ফাইল ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে থাকে। কোটি কোটি ডলারের কারবার এই র‍্যানসমওয়্যার।

এর আগেও নানা হাসপাতালে র‍্যানসমওয়্যার হামলা চালানো হয়েছে। তা ছাড়া গত আগস্টেই টেসলা হ্যাক করে মুক্তিপণ দাবীর ঘটনা শিরোনাম হয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গারমিন হ্যাক করে কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ করে রেখেছিল হ্যাকাররা। প্রতিষ্ঠানটি হ্যাকারদের ১ কোটি ডলার দিয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র: এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ