Thank you for trying Sticky AMP!!

হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা পরিবর্তনে কী হবে?

হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি–বিষয়ক নীতিমালা ও ব্যবহারের শর্ত পরিবর্তন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে হলে এখন ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য শেয়ারের অনুমতি দিতে হবে। তা না হলে হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। ফেসবুককে তথ্য দিতে বাধ্য করার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অনলাইনে হোয়াটসঅ্যাপের সমালোচনা করছেন। বিষয়টি পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতি দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।

হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন নীতিমালায় তাদের ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করার যে চর্চা, তাতে কোনো পরিবর্তন আসছে না। আগামী মাস থেকে এ নীতিমালা কার্যকর হবে। এতে কেবল বিজনেস অ্যাকাউন্টগুলো লক্ষ্য থেকে তথ্য শেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে গ্রাহকের চ্যাটের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না। অর্থাৎ, এতে বিজনেস অ্যাকাউন্ট বাদে সাধারণ ব্যবহারকারী কোনো পরিবর্তন লক্ষ করবেন না। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী ব্যবসায় যুক্ত অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন কি না, তা নির্ধারণ করতে পারবেন।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জকে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ প্রাইভেসি নীতিমালা পরিবর্তনের বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। তারা বলেছে, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন নীতিমালা কার্যকর হবে। সব আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী পপআপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এ পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারবেন। ব্যবহারকারীকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার চালিয়ে যেতে অবশ্যই ওই পরিবর্তনের সঙ্গে সম্মত হতে হবে।

নীতিমালায় নতুন পরিবর্তনের মধ্যে ফেসবুকের আন্তর্জাতিক গোপনীয়তা নীতির একটি অংশ সরানো হয়েছে, যাতে আগে ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য ভাগ করে নেওয়া থেকে এক মাসের মধ্যে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতেন। এখন নতুন পরিবর্তনের ফলে ব্যবহারকারীকে সরাসরি হেল্পলাইন সেন্টারে নেওয়া হবে, যেখানে অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার জন্য বলা হবে।

ফেসবুকের এ পদক্ষেপ অনলাইনে অনেককেই খেপিয়ে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্পেসএক্স ও টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তিনি ব্যবহারকারীদের আরও প্রাইভেসি সুবিধাযুক্ত মেসেজিং সেবা সিগন্যাল ও টেলিগ্রাম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার পর সিগন্যাল ও টেলিগ্রাম অ্যাপের চাহিদা বেড়ে গেছে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, রয়টার্স, দ্য ভার্জ