Thank you for trying Sticky AMP!!

১০ লাখের বেশি মানুষ আস্থা রেখেছে মোবাইলে ‘ডিজিটাল হসপিটালে’র ডাক্তারি সেবার উপর

ডিজিটাল হসপিটাল কল, চ্যাট এবং ভিডিও কল পরামর্শের মাধ্যমে ১০ লাখের বেশি ডিজিটাল ডাক্তারি পরামর্শ সেবা প্রদান করেছেন। তারা বিশ্বাস করেন যে চিকিৎসকদের কাছ থেকে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেবলমাত্র আস্থা, সহানুভূতির এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে। ডিজিটাল হসপিটাল তাদের ১২০+ ডাক্তারদের (এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ) দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে যাতে রোগীদের সঙ্গে প্রতিটি আলাপচারিতায় এ ৩টি স্তম্ভ অন্তর্ভুক্ত থাকে যাতে করে রোগী ও  ডাক্তারদের মধ্যে একটি আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। তাই একবার সেবা নেওয়ার পর ৭২ শতাংশ রোগী পরামর্শের জন্য আবারও ডিজিটাল হসপিটালকেই বেছে নেন।

সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল হসপিটাল তাদের সমস্ত ডাক্তারকে একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে খুব কঠোর নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিয়োগ চূড়ান্ত প্রদান করে থাকে। ডিজিটাল হসপিটালে চিকিৎসা সেবা স্থিতিশীল রাখা, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার মান বজায় রাখার জন্য কাজ করা হয়ে থাকে। ডাক্তার-রোগীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় যেখানে ডাক্তার ও রোগীর আন্তরিক যোগাযোগ আরও উন্নত করতে রোগীর মতামত মূল্যায়ন করা হয়। সমস্ত চিকিৎসা বিষয়ক মতামত সংরক্ষণ করে আস্থা, সহানুভূতির এবং আন্তরিকতার বিষয়ে চিকিৎসকদের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয় এবং ক্রমাগত পরামর্শ দেওয়া হয়।

গত দুই মাসে ডিজিটাল হসপিটালের চিকিৎসকেরা এই কঠিন সময়ে রোগীদের উদ্বেগ কমাতে ও সহায়তা করতে ৫০,০০০+ অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ (১০ টাকা এবং তার চেয়েও কমে) সরবরাহ করেছেন। ৭৯% রোগী, তাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা ডিজিটাল হসপিটালের সেবা গ্রহণের পর ডাক্তারদের ধন্যবাদ দিয়েছেন এবং দেখা গেছে ৭২% রোগী দ্বিতীয়বার ডিজিটাল হসপিটালের সেবা গ্রহণ করেছেন।

ডিজিটাল হসপিটালের ক্লিনিক্যাল অপারেশনস প্রধান চিকিৎসক খালেদ হাসান বলেন, আমরা চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে ফলপ্রসূ যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহানুভূতি ও মমত্ববোধকে গুরুত্ব দিচ্ছি ও কীভাবে এটি রোগীর স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সেটি নিয়ে কাজ করছি এবং এটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এভাবে আমরা মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা সহজেই মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে করতে সক্ষম হব।

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহানুভূতি চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্কের মেরুদণ্ড হিসাবে বিবেচিত যা রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ব্রিটিশ জার্নাল অব জেনারেল প্র্যাকটিসে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় চিকিৎসকদের আন্তরিকতা রোগীর উদ্বেগ ও সংকটের মাত্রা হ্রাস করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে যার ফলে ডায়াগনস্টিক এবং ক্লিনিক্যাল ভালো ফলাফল সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসার ইতিহাসের পাশাপাশি চিকিৎসকদের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে যোগাযোগ স্থাপনের পথ সুগম হয় এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ক্লিনিক্যাল ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

একটি বিশ্লেষণে পাওয়া যায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের গ্লাইকোসিল্যাটেড হিমোগ্লোবিন (এইচবিএ ১ সি) এবং লো-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং চিকিৎসক ও রোগীদের পারস্পরিক সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য ভালো ফলাফল এসেছিল। সাধারণ ঠাণ্ডাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও একই ফলাফল দেখা যায় যেখানে রোগের মাত্রা কম ছিল এবং রোগীদের ডাক্তারের কাছে যাওয়া হ্রাস পেয়েছিল। অন্যান্য অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে একজন দায়িত্বশীল চিকিৎসক রোগীদের ক্যানসার থেকে বেঁচে থাকার এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক নিরাময়ের ক্ষেত্রেও ভালো অবদান রাখতে পারে।

আরও জানতে ডিজিটাল হসপিটাল - ০৮০০০১১১০০০ (টোল- ফ্রি) নম্বরে কল করুন, care.dh.health ভিজিট করুন বা ডিজিটাল হসপিটাল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।