Thank you for trying Sticky AMP!!

৪ কোটি টাকায় কেনা বাড়িতে থাকার উপায় নেই

শিল্পী ক্রিস্টা কিমের তৈরি ভার্চ্যুয়াল বাড়ি

পাঁচ লাখ ডলারে বাড়ি বিক্রি করেছেন এক শিল্পী। তবে সে বাড়িতে থাকার জো নেই। কোনো দিন যে কেউ থাকবেন, সে উপায়ও নেই। কারণ, বাড়িটি ভার্চ্যুয়াল, ইট-কাঠ-পাথরের নয়।

অদ্ভুত শোনালেও এ নিয়েই মেতেছে অনলাইন দুনিয়া। বিনিময়যোগ্য ভার্চ্যুয়াল উপাদানগুলোকে এনএফটি বা নন-ফানজিবল টোকেন বলা হয়। এটি অনেকটা বিটকয়েনের মতো। কেবল পার্থক্য হলো প্রতিটি এনএফটি অনন্য। আর সে কারণেই এমন চড়া দামে বিক্রি হয়।

শিল্পী ক্রিস্টা কিম তাঁর তৈরি ভার্চ্যুয়াল বাড়ি ২৮৮ ইথারের সঙ্গে বিনিময় করেন। বিটকয়েনের মতো ইথারও একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা। ২৮৮ ইথার পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার কিংবা সোয়া চার কোটি টাকার কাছাকাছি।

ভার্চ্যুয়াল বাড়িটির নাম মার্স হাউস। ভার্চ্যুয়াল ফরম্যাটে কিংবা অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির সাহায্যে সেটি দেখা যায়। এর বাইরে সেটির অস্তিত্ব নেই।

সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টা কিম বলেন, ‘এখন অনেক এনএফটি শিল্প বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে রয়েছে। তবে শিল্পকে উপস্থাপনের সুযোগ খুব কম। সেখানে উপস্থাপন করতে হয় ডিজিটাল ফাইল হিসেবে, সেটা হতে পারে পর্দায় দেখানো চমৎকার কোনো ছবি কিংবা ভিডিও।’

মার্স হাউস

কিম যোগ করেন, ‘তবে আমার উদ্দেশ্য সেখানেই সীমাবদ্ধ নয়। আমার কাছে মনে হয়, শিগগিরই আমরা হয়তো অগমেন্টেড জীবনধারার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাব।’

এর আগে টুইটারের প্রধান জ্যাক ডোরসি তাঁর প্রথম টুইট কয়েক লাখ ডলারে বিক্রি করেন। ওদিকে টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক একটি গান বানিয়ে সেটি এনএফটি হিসেবে বিক্রি করছেন ভার্চ্যুয়াল এক প্ল্যাটফর্মে।

সূত্র: দ্য সান