Thank you for trying Sticky AMP!!

'নতুন স্বাভাবিক সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে মানিয়ে নিতে হবে'

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে যে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে, বাংলাদেশেও তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা ও প্রযুক্তি খাতকে মানিয়ে নিতে যথাযথ রূপান্তরের মধ্য দিয়েই যেতে হবে। গতকাল শনিবার প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তাদের সংগঠন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠনগুলোর প্রধানদের নিয়ে করা ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে এসব কথা উঠে আসে।

‘লিডারস থট ইন নিউ নরমাল এরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শহিদ উল মুনির, বাংলাদেশ কল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরিফ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার সংগঠনের সভাপতি এম এ হাকিম এবং ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ।

বক্তারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি সাধারণ জীবনযাত্রাকে বড় এক ধাক্কা দিয়েছে। জীবনযাত্রায় অনেক সূক্ষ্ম থেকে বৃহৎ পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে। ভ্যাকসিনের আশায় বসে থাকলে চলবে না। আস্তে আস্তে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছে। অনেক অনুষ্ঠান অনলাইন মিটিং টুলে করা হচ্ছে। বেশির ভাগ কেনাকাটা অনলাইনে হচ্ছে। ক্যাশ লেস ট্রানজেকশন বেশি ব্যবহার হচ্ছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক এই পরিবর্তন সাময়িক নয়। এর মধ্যে বেশ কিছু নতুন ব্যবস্থা জীবনধারায় স্থায়ীভাবে রয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোকে আরও উদ্যমী ও সৃজনশীল হতে বলেন। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শহিদ উল মুনির হার্ডওয়্যার খাতের ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেন। কল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরিফ বলেন, কল সেন্টারগুলোয় অটোমেশন বা চ্যাটবটের ব্যবহার বাড়বে। তাই কর্মীকে আরও দক্ষ হতে হবে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার সংগঠনের সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, এই নতুন পরিবর্তিত সময়ে ইন্টারনেটের চাহিদা বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ ই-কমার্সকে আরও বিশ্বস্ত করে তোলার প্রচেষ্টার কথা বলেন। সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরত ব্যক্তিদের সামনের দিনগুলোকে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে বলেন।