Thank you for trying Sticky AMP!!

এ বছরও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হচ্ছে না

গত বছরও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বসতে পারেনি শিক্ষার্থীরা

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার মতো এ বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও হচ্ছে না। এর পরিবর্তে বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নির্দেশনা চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছিল, সেটি অনুমোদন হয়ে ফিরে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।

এই পরীক্ষার বিষয়ে কিছুদিন আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তাঁদের প্রস্তুতি আছে। কিন্তু ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার জন্য মাদ্রাসাগুলোর প্রস্তুতি নেই বলে তারা চায় পরীক্ষাটি না নেওয়া হোক। তাই পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, এ বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। তখন তিনি এ বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরও এসব পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয়। তবে এবার ইতিমধ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির প্রাক্‌-নির্বাচনী পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন প্রাথমিকেও বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হতে যাচ্ছে।

এদিকে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেটের (জেএসসি) মতো কোনো পরীক্ষা রাখা হয়নি। নতুন শিক্ষাক্রম আগামী বছর পরীক্ষামূলকভাবে এবং পরের বছর (২০২৩) থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে। এ অবস্থায় শিক্ষাবিদসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এ দুই পরীক্ষা এখনই স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দেওয়া দরকার।

২০০৯ সাল থেকে পিইসি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে সরকার। পরে মাদ্রাসার সমমানের শিক্ষার্থীদের জন্য ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও চালু করা হয়। প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী এসব পরীক্ষায় অংশ নেয়। আর ২০১০ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চালু হয়। এ পরীক্ষায় এখন মোট পরীক্ষার্থী ২৬ লাখের বেশি হয়।